বাঘায় পুলিশ দেখে কনের বাড়ি থেকে পালিয়ে গেল বর, বন্ধ হয়ে গেল ছাত্রীর বিয়ে

রাজশাহী

বাঘা  প্রতিনিধি:বাঘায় কনের বাড়িতে চলছিল বিয়ের আয়োজন। হাজির হয়েছিলেন বরসহ তার পক্ষের লোকজনও। কিন্তু বাঁধ সাধলো পুলিশ। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার খবরে কনের বাড়িতে হাজির হন পুলিশ। এমন সময় কনের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বর ও তার পক্ষের লোকজন। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায়, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্য বিয়ে। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা কামারপাড়া গ্রামের মানিক হোসেনের বাড়িতে তারই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রী শ্রাবন্তির বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। ওই ছাত্রীর বিয়ের বযস না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন বলেও মুচলেকা দিয়েছেন ছাত্রীর পরিবার।

পুলিশ জানায়,বাগাতিপাড়া সদর এলাকার মোহাম্মদ টিক্কা আলীর ছেলে জয় হোসেনের সাথে বাঘা উপজেলার বাউসা কামারপাড়া গ্রামের মানিক হোসেনের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রী শ্রাবন্তির বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।

বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান বলেন, বাল্য বিয়ের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানার পর, আমাকে অবগত কওে ব্যবস্থা নিতে বলেন। সেই মতে পুলিশের সহায়তায় বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্ধ করে দেয়। ওই ছাত্রীর পরিবার দিয়েছে,বিয়ের বযস না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেননা বলে। যার কারণে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, স্থানীদের মাধ্যমে বাল্য বিয়ের বিষয়ে অবগত হই। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানোর পরে চেয়ারম্যান পুলিশের সহায়তায় বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।

স্ব.বা/ রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *