কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন হয়নি,এ নিয়ে সমালোচনার ঝড়

রাজশাহী

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং কেশরহাট পৌর এলাকা জুড়ে এ বিষয়ে নানান রকম গুঞ্জন চলছে। এমন কর্মকান্ড নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচী উদযাপন করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শুনা যাচ্ছে, কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী মিলে শুধুমাত্র পতাকা উত্তোলন করে দায় এড়িয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন। এদিনে উপস্থিত হয়নি অনেক শিক্ষক। এমন ঘটনায় কেশরহাট পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী সহ স্থানীয় লোকজন বাজারের বিভিন্ন স্থানে সমালোচনা ও নিন্দা প্রকাশ করে যাচ্ছেন।

কেশরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে। সেখানে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয় এর মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এই দিবসটি উদযাপন করা হয়নি এবং পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। আমি কেশরহাট পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর ধিক্কার এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ধরনের দৃষ্টান্ত দেখাতে না পারে তাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সহ সরকারের কাছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

কেশরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহেদুজ্জামান মুক্তা বলেন, কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়নি সেজন্য আমি কেশরহাট পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর ধিক্কার জানাই এবং এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সহ সরকারের কাছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ অনুরোধ জানাচ্ছি।

কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সকল সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ দিনটিকে উদযাপন করেছে। কিন্তু কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয় একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হলেও সেই বিদ্যালয়ে দিবসটি গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করা থেকে তারা বিরত ছিলেন, এতে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হয়েছে বলে আমি মনে করছি। এই কারণে আমরা যারা এলাকাবাসী রয়েছি তারা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। শুনেছি কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জিয়া পরিষদের কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। সেই কারনে হয়তো তিনি এমন ঘৃনিত কাজ করছে।

এবিষয়ে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস এ বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি এবং বরাবরাই পালন করি। ১৭ই মার্চ সকালে আমরা শিক্ষক-কর্মচারী মিলে পতাকা উত্তোলন করি এবং এ বিষয়ে অফিসে আলোচনা সভা করে আমি মোহনপুর উপজেলায় দিবসটির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যায়। তবে সেদিন কয়েকজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের আগামী কার্যদিবসে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আগামী ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বৃহৎ পরিসরে উদযাপনের লক্ষ্যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তাই ১৭ই মার্চ বড় পরিসরে উদযাপন করা হয়নি। সেদিন সারাদিন ব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বিভিন্ন খেলাধুলাসহ শিক্ষামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।

 

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *