তানোরে উল্টানো রাস্তার লালচে ধুলায় অতিষ্ঠ জনজীবন,বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের গুবিরপাড়া গ্রামের সামনের রাস্তা নতুন ভাবে কার্পেটিং করার জন্য দীর্ঘদিন দিন ধরে পিচ তুলে খোয়া বিচিয়ে রোলার মেরে ডাব্লিউ বিএম করে লালচে ধুলো অবস্থায় রাখায় এবং সেই ধুলায় নাকাল হতে হচ্ছে চলাচল কারীদের বলে অভিযোগ উঠেছে । এর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। দিনের পর দিন লালচে ধুলায় জনসাধারণ তো নাকাল হচ্ছেন সেই সাথে সবুজ গাছপালা ফসল লালচে আকার ধারন করেছে। এতে করে জনমনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি অফিসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ নানা ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভবনা দেখছেন স্হানীয়রা।

গত মঙ্গলবার সকালের দিকে উপজেলা চায়ের দোকানে বসতেই সাবেক ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফা লাল্টু চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এলজিইডি অফিস থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে, মুল রাস্তা প্রয়াত চেয়ারম্যান এমরান আলী মোল্লার বাসভবন থেকে আলমের হোটেল পর্যন্ত রাস্তার খোয়ার লালচে ধুলায় নাকাল হয়ে পড়তে হচ্ছে। একবার রাস্তা দিয়ে গেলে তার শ্বাসকষ্ট হতেই হবে।রাস্তার দূপাশে বোরো ধানের সবুজ পাতাগুলো লালচে হয়ে পড়েছে।আলু উত্তোলনের জন্য দিনরাত সমান তালে চলছে ছোটবড় যানবাহন। কর্তৃপক্ষের এত নিকটের রাস্তার অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে কি বলার কি আছে।দূবেলা পানি দিলে কিছুটা ধূলা কম উড়তো।এত বাজে অবস্থা ধূলার কারনে দিনের বেলাও লাইট জালিয়ে চলতে হচ্ছে। কাজেই এমন অবহেলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরুরি ভাবে ব্যবস্হা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গত মঙ্গলবার সকালের দিকে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সাইদুর রহমানে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরাও ঠিকাদার কে বলছি। কিন্তু সে কালক্ষেপন করছেন।তবে আশার কথা অল্প কয়েক দিনের মধ্যে কার্পেটিং কাজ শেষ করা হবে।

স্হানীয়রা জানান,উপজেলার উত্তরে পৌর এলাকার ১,২,৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড, কলম ও কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা।এছাড়াও রয়েছে চৌবাড়িয়া হাট। এক কথায় উপজেলার উত্তরের জনপদের জনসাধারণ কে রাস্তার ধূলায় নাজেহাল হয়ে পড়তে হচ্ছে। চরম বিপাকে পড়েছেন গুবিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দারাও। এক প্রকার বাধ্য হয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। ওই গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার,বাবু, ওহাবসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তার লালচে ধূলা ঘর বাড়িতে উড়ে টিনসহ সবকিছুই লাল আকার ধারন করেছে।পানি রাস্তায় না দেওয়ার কারনে এমন দূর অবস্থা। গ্রামের শেষ মাথায় রাস্তার পশ্চিমে রয়েছে কারিগরি কলেজ। অতিরিক্ত ভাবে ধূলা উড়ে এসে কলেজের টিন,দেয়ালসহ সবকিছু লাল আকার হয়ে গেছে। বেশিক্ষণ কলেজে থাকাও চরম অস্বস্তিকর অবস্থা।

ওই গ্রামের একাধিক গৃহিণীরা জানান,ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছেনা।এমনকি ঘরের জানালার পর্দাও লাল আকার ধারন করেছে। জানিনা এদূর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি পাব।

আলু তুলতে চাপাইনবয়াবগঞ্জ জেলা থেকে এসেছেন খাইরুল আলামিন সহ অনেকে। তারা গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক হান্নানের খৈলানে অস্থায়ী ভাবে বাস করছেন। তারা জানান সারা দিন মাঠে আলু উত্তোলন ও বহন করছি।দুপুরে খাবার খেতে ও রাত ১০/১১ টার দিকে আসা পড়ে।আমাদের শোয়ার জায়গা জামা কাপড় মশারি লাল হয়ে পড়েছে।দুপুরের খাবার খেতে এসেও স্বস্তি নেই রাস্তার ধূলার কারনে।

ঠিকাদার ওয়াসিম ধূলায় দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *