তানোরে আ’লীগের অবস্থা হ য ব র ল

রাজশাহী লীড

সারোয়ার হোসেন,তানোর: বর্তমানে রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের যে দূর অবস্থা তাতে করে সামনে আওয়ামী লীগের সংগঠন খুঁজে পাওয়ায় মুসকিল হয়ে পড়ার আশঙ্কায় পড়েছে নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাঠে ঘাটে না থাকায় আওয়ামী লীগের অবস্থা হ য য র ল তে পরিনত হয়েছে। নেই নেতাকর্মীদের মধ্যে চেইন অব কমান্ড। ফলে দীর্ঘদিন ধরে মাজা ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যেটুকু চাঙ্গা রয়েছে তা শুধু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়নার কঠোর পরিশ্রমের জন্যই টিকে রয়েছে। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না তার যুবলীগ নিয়ে গুটি গুটি পায়ে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলন, সভা সমাবেশ বর্ধিত সভা, কর্মীসভা করার প্রচেষ্টায় ধিরে ধিরে একপা দুপা করে এগিয়ে যেতে শুরু যুবলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ। যখনই যুবলীগ সফল ভাবে এগিয়ে যেতে লাগলো তখনই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যুবলীগকে দমাতে শুরু করেন নানান অপ তৎপরতা। সেই সাথে এমপির কাছে দিতে শুরু করে কান ভাঙ্গানি।

কিন্তু কথাই আছে শকুনের দোয়ায় কখনো গরু মরে না, তেমনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অপ কান ভাঙ্গানিতে যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়নাকে সাময়িক দূরে রেখে সুদিনে মধু খেতে চাক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শুরু করেন টানাটানি। এতে করে তাদের মধু খাওয়ার আশায় চাক টানাটানি করতে গিয়ে ভেঙ্গে পড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। কিন্তু চাকের মধু খাওয়াতো দূরের কথা আজ তাঁরা হয়ে পড়েছে জনবিচ্ছিন্ন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সকল চিটারী বাটপারি এমপির কাছে ধরা পড়ে হারিয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। অথচ তানোর আওয়ামী লীগের সুদিনে সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকলেও যুবলীগের সভাপতি নৌকার বাহিরে না গিয়ে মাটি কামড়ে তার যুবলীগের সংগঠন নিয়ে মাঠে ঘাটে সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে ছুটে কাজ করে গেছেন বা এখনো করে যাচ্ছেন। যার ফল সরুপ সেই চাকের মধু খাচ্ছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা জানান, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভেঙ্গে পড়া সংগঠন সক্রিয় করে গড়ে তুলতে হলে সামনে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়নাকে সভাপতি করার কোন বিকল্প নেই।তাঁরা আরো বলেন, বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের রাজনীতি শুরু থেকে একে অপরের সাথে কোন সমন্বয় না করে এমপিকে দাবার ঘোড়া বানিয়ে লুটপাট করতেই ব্যস্ত ছিলো। তাঁরা নিজেরা নিজেকে ছাড় না দিয়ে পরপর দুইবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপির কাছে পরাজিত হন। যাঁরা আওয়ামী লীগকে পুঁজি করে আখের গুছিয়েছেন নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন তাঁরা কখনো আওয়ামী লীগ হতে পারে না বলে নেতাকর্মীরা জানান।

তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না বলেন, আমি কোন পদপদবী না পেলেও কোনদিন নৌকার সাথে বেঈমানী করবোনা। আওয়ামী লীগের সুদিনে কিছুই পায়নি তার পরেও দূর্দিনে রাজপথে নেমে আন্দোলন মিটিং মিছিল সভাসমাবেশ করে গেছি। আগামীতেও আমাকে কোন পদপদবী না দিলেও নৌকার ছায়া তলে থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি সক্রিয় ভাবে করে যাবো ইনশাআল্লাহ বলে জানান তিনি। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *