বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উদ্যোক্তা নিয়ে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউপির নিয়োগপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাকে কোন কারণ ছাড়াই বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তার ব্যাক্তিগত লোক দিয়ে উদ্যোক্তার কাজ করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে একজন চেয়ারম্যানের এমন সেচ্ছাচারীতায় এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে সমালোচনার ঝড়। বর্তমান উদ্যোক্তা সুইট চেয়ারম্যানের আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। চেয়ারম্যানের কথাই ইচ্ছে মত পরিষদে আসা সেবা গ্রহিতাদের কাছে থেকে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব, চারিত্রিক সনদ ছাড়াও বিধবা ভাতার কার্ড,বয়স্ক ভাতার কার্ড বা সংশোধনী কোন কাজে আসলে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

এমনকি কেউ টাকা দিতে না চাইলে তাকে আজ সার্ভারের সমস্যা, কাল নেট সমস্যা বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস ঘোরানো হচ্ছে। এতে করে একপ্রকার বাধ্য হয়ে উদ্যোক্তাকে দিতে হচ্ছে টাকা নয়তো মিলছে না সনদ পত্র। অথচ ভুক্তভোগীরা বিষয়টি একাধিকবার চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে অবহিত করলেও চেয়ারম্যান কোন প্রতিকার না করে উল্টো তাদেরকে বলা হয় অফিসিয়াল কাজ করতে অনেক খরচ হয়। তাছাড়া উদ্যোক্তার কোন বেতন নাই। সেজন্য আপনাদের কাছে থেকে সামান্য কিছু টাকা নেয়া হয় বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান।

জানা গেছে,২০১১ সালে জেলা ডিসি অফিস থেকে বাধাইড় ইউপিতে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ পান ইউপির নারায়ণপুর উঁচা ডাঙ্গা গ্রামের শরিফুল ইসলাম নামের একজন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে শরিফুল ইসলাম সচ্ছ ভাবে উদ্যোক্তার কাজ পরিচালনা করে আসছিলো। কিন্ত আতাউর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন কারণ দর্শনোর নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে উদ্যোক্তার পদ থেকে শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তাঁর ব্যাক্তিগত নিজস্ব লোক সুইট নামের একজনকে দিয়ে অবৈধ ভাবে উদ্যোক্তার কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। ফলে চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের এমন জঘন্য কান্ডে চরম মানবেতর হয়ে পড়েছে নিয়োগপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম ও তার পরিবার।

জেলা ডিসি অফিস থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত বাধাইড় ইউপির উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম জানান, আমি জেলা ডিসি অফিস থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যথাক্রমে সচ্ছ তাঁর শহিদ কাজ করে যাচ্ছিলাম কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই আমাকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তাঁর অনুগত সুইট নামের একজনকে দিয়ে অবৈধ ভাবে উদ্যোক্তার কাজ করাচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতো। নয়তো তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন নোটিশ ছাড়াই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এবিষয়ে বাধাইড় ইউপির বর্তমান উদ্যোক্তা সুইট ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন, আপনাকে কোন তথ্য দেয়া যাবেনা। আপনার যা খুশি লেখার লিখেন কোন সমস্যা নাই। বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান,আমি এ ইউপির চেয়ারম্যান আমি যে কাউকে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে নিতে পারি। আগের উদ্যোক্তা আমার কোন কথা শুনতো না সেই জন্য তাকে বাদ দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা নেয়া হয়েছে। তবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি এড়িয়ে যান।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *