তানোরের তালন্দ হাটের অবৈধ ঘর রক্ষায় মাপার নামে চলছে সার্কাস

রাজশাহী লীড

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার তালন্দ হাটের মাছ বাজারের কোটি টাকার অবৈধ ঘর রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওসি ওবাইদুর রহমান মুকুল ও তার চাচা মোজাম, পিয়ারুল এবং রানা বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মেপে ঘরসহ আরো জায়গা হাটের মধ্যে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। আবার পুনরায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলে মাপ জোকের কাজ।সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত মাপ চললেও রহস্য জনক কারনে শেষ হয়েও হচ্ছে না। কারন যখনি স্হাপনন হাটের মধ্যে পড়ছে তখনই বলা হচ্ছে মাপ ভুল হয়েছে, ফিতা ধরা ঠিক হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। চলতি মাসের গত সোমবারে জায়গা মাপার পর সার্ভেয়ার সাব জানিয়ে দেন হাটের জায়গায় মধ্যে নতুন পাকা ঘর পড়েছে। আবার বৃহস্পতিবারেও জায়গা মেপে হাটের মধ্যে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেন। এবার মেয়রের ছোট ভাই রানা বলছে মাপা সঠিক হয়নি ঈদের পরে পুনরায় মাপতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি । কয়েকদিন মেপে ওসি ওবাইদুরের জায়গা হাটের মধ্যে পড়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে এবং দ্রুত উচ্ছেদের দাবি তুলেছেন।

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার তালন্দ হাটের মাছ বাজারের জায়গা দখল করে রাতের আধারে পাকা স্হাপনা তৈরি করছিলেন হরিদেবপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওসি ওবাইদুর রহমান মুকুল। অবশ্য তিনি পরোক্ষ ভাবে থাকলেও দেখভাল করছিলেন তার চাচা মোজাম ও পিয়ারুল এবং মেয়র ইমরুলের ছোট ভাই রানা। এঅবস্হায় হাটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রোববার স্হাপনা বন্ধ করে দেন তহসিলদার লুৎফর রহমান । পরের দিন সোমবার ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার পুলক কুমার ও তহসিলদার এবং ওসির পক্ষের বেশকিছু আমিন মাপজোক করে স্হাপনা হাটের জায়গার মধ্যে পড়ে বলে সার্ভেয়ার জানালে পিয়ারুল উচ্চ বাক্যে আবল তাবল কথাবার্তা বলেন। পরে দুপুরের দিকে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে গেলে পিয়ারুল ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান। পুনরায় বৃহস্পতিবারে মাপজোকের দিন ধার্য হয়।বৃহস্পতিবারেও সার্ভেয়ার সহ একাধিক আমিন মাপজোক করলেও একই অবস্থা ঘটলে তারা আবারো ঈদের পর মাপার কথা বলেন। সার্ভেয়ার জানান হাজার বার মাপলেও হাটের মধ্যেই পড়বে।আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

স্হানীয়রা জানান, এক জায়গা কতবার মাপার প্রয়োজন পড়ে।তারা ক্ষমতাধর এজন্য বারবার মাপতে আসছে।অথচ গরীবের জায়গা হলে উচ্ছেদ হয়ে যেত। যেখানে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে শত বছরের গাছ ছিল, সেটা সরকারি ভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছিল, তাহলে জায়গা কি করে হয়।

জুয়েল নামের এক প্রত্যাক্ষদর্শী জানান, সার্ভেয়ার সরাসরি মোজামদের বলেছে নতুন পাকা স্হাপনা হাটের মধ্যে পড়েছে বলে তাদেকে জানিয়ে দিয়েছে আর রাস্তার মধ্যে পড়েছে তাদের কিছু অংশ।

সহকারী কমিশনার ভুমি সুস্মিতা রায়ের ০১৭১৬- ১৪৫৪১৪ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *