শেরপুর প্রতিনিধি :
রমজান উপলক্ষে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলাতে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। কেজি হিসেবে তরমুজ ক্রয় করতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। কারণ আগে তরমুজ বিক্রি হতো পিছ হিসেবে। আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি হিসেবে। যা ন্যয্য মূল্যের তুলনাই অনেক বেশী। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার বাহিরে।
জানা যায় যে, এক সময় এই উপজেলায় প্রচুর আবাদ হতো তরমুজের। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী করা হতো। কয়েক বছর ধরে স্থানীয় চাষিরা তরমুজ চাষে লোকসান হওয়ায় এই আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যার ফলে অন্যত্র থেকে তরমুজ আমদানী করে পাইকারী বিক্রেতারা এই এলাকায় উচ্চমূল্যে খুচরা বিক্রেতার কাছে এই তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন বলে ক্রেতারা জানান।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,কেজি হিসেবে তরমুজ কিনে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একটি তরমুজ প্রায় ৫/৭ কেজি ওজনের হয়ে থাকে কেজি হিসেবে দাম আসে অনেক টাকা। যার কারনে সবার পক্ষে তরমুজ ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, পিছ হিসেবে পাইকারী ক্রয় করে ট্রাক ভাড়া দিয়ে নালিতাবাড়ীতে আনা পর্যন্ত প্রতি কেজি তরমুজের মূল্য আসে প্রায় ৪০ টাকা। প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকার কম বিক্রি করলে তাদের লাভ হয়না। এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।
স্ব.বা/ রু