তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর গোল্লাপাড়া হাটে চলছে নিয়মবহির্ভূত ভাবে ইজারার নামে গণহারে চাঁদাবাজি। সরকারি ভাবে হাটের ইজারা মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর কথা থাকলেও গোল্লাপাড়া হাটে তা টাঙ্গানো হয়না। এতে করে ইজারাদারের ইচ্ছে মত হাটে আশা ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে খাজনা আদায় করেন ইজারাদার। জানা গেছে, এবার গোল্লাপাড়া হাট তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে ডাক করেছে ইজারাদার। আর সেই ডাক করা টাকার চাইতে তিনগুণ বেশি খাজনা আদায় করে গলা কাটছে ইজারাদার। অথচ নিরব ভূমিকায় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে ইজারাদারের চাহিদা মোতাবেক খাজনা দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদেরকে।
গোল্লাপাড়া হাটের বেশ কয়েকজন ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আগে এই হাটে কোনদিন এতো টাকা খাজনা আদায় করা হয়নি। কিন্তু এখন আগের চাইতে তিনগুণ বেশি খাজনা আদায় করা হচ্ছে। একটি খাট বা চৌকি বিক্রি করা হলে নেয়া হচ্ছে ১৫০টা থেকে ২০০টাকা পর্যন্ত। এমনকি ছোট ছোট তরিতরকারি ব্যবসায়ীদের কাছে নেয়া হচ্ছে ২০টাকা করে। যা আগে ছিলো ৩টাকা থেকে ৫টাকা করে। এছাড়া বাদাম বিক্রেতা,মাছ বিক্রেতার কাছেও আদায় করা হয় ২০ টাকা থেকে ৩০টাকা। সবজি ব্যবসায়ী ও চা দোকানীর কাছে থেকে নেয়া হয় ২০টাকা। ফলে ইজারাদারের এমন বেপরোয়া খাজনা আদায়ের নামে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গোল্লাপাড়া হাটে আশা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
গোল্লাপাড়া হাটে আশা বেশ কয়েকজন ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা জানান, এই হাটে এক কেজি আলু বা দুই কেজি মাছ বিক্রি করলেও খাজনা দিতে হয় ২০টাকা। তাহলে এক কেজি আলুর দাম ১০টাকা আর দুই কেজি মাছের দাম ১০টাকা তাতেও খাজনা দিতে হয় ২০টাকা। এতে করে এই হাটে ইজারার ভয়ে অনেক ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা আসা ছেড়ে দিয়েছে। কিছু দিন পরে হয়তো ইজারাদারের জন্য শুধু এই হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রমায় উঠবে। তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাটের খাজনা আদায়ের চাট টাঙ্গিয়ে খাজনা আদায়ের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এবিষয়ে তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুল হক জানান, সরকারি নিয়মের বাইরে বেশি খাজনা আদায় করার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি বাধ্যতামূলক খাজনা আদায়ের তালিকা টাঙাতে হবে ইজারাদারকে। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সরকারি নিয়মের বাইরে বেশি খাজনা আদায় করা ও ইজারা মূল না টাঙ্গানো গুরুতর অপরাধ। যদি কোন ব্যবসায়ী বেশি খাজনা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ দেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।