রাজশাহীতে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দাতা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে

রাজশাহী

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীতে সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়ার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এক সপ্তাহ হলো। এরপর মোহনপুর উপজেলার একজন সাংবাদিক বাদী হয়ে ঐ থানায় (বাগমারা) একটি লিখিত অভিযোগও করেন। এরপর লিখিত অভিযোগের সুত্রধরে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশও হয়। কিন্তু সপ্তাহ পার হলেও অলৌকিক কারনে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যত এখনও কোন আইনী পদক্ষেপ নেয়নি থানা প্রশাসন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল ২০২২ (বুধবার) বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় পুকুর খননকে কেন্দ্র করে খননকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে সংবাদ সংগ্রহ করতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয় এবং নিউজ করা হবে এমন তথ্য জানতে পারলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেন একই ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের মৃত ইসরাইলের ছেলে এমরান হোসেন দুলাল (৪০)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সে মোহনপুর উপজেলার ধামিন নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে ল্যাব সহকারি পদে চাকুরিরত। বর্তমানে সে অত্র ইউনিয়নের পালোপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। তবে দুলালের এই চাকরির পাশাপাশি রমরমা চলে সুদ ব্যবসাও।

সাংবাদিকের করা সেই মামলা থেকে বাঁচতে ভিবিন্নভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে সুদ কারবারি এই দুলাল। গত ১৯ এপ্রিল তার নিজ বাড়িতে ডট কম সাংবাদিককে ডেকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমুলক তথ্য উপস্থাপন করে ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করার চেষ্টা করছে। যা খুবই দৃষ্টিকটু ব্যাপার, কিছুটা শাক দিয়ে মাছ ঢাঁকার মত।

তিনি তার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সাংবাদিক ডাবলু তার থেকে টাকা চেয়েছে। আবার আরেক সাক্ষাৎকারে বলছে তার মাথায় সমস্যা আছে, সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আবার বলছে ঘটনার সময় কিছু লোকজন তাকে উস্কানীমূলক কথা বলে তাকে দিয়ে এ কাজ করে নিয়েছে। আসলে সমস্যা কোনটা বা সত্য কোনটা এটিই দেখার বিষয়। তবে এলাকাবাসির দাবী তিনি একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য নাটক করছেন। তবে এটিই যদি হয় এখানেও পুরো সাংবাদিক জাতিকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ ও পুরো গণমাধ্যম কর্মী সমাজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঐ দিন আউচপাড়া ইউনিয়নের পালোপাড়া গ্রামে পুকুর খনন করাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান ও আউচপাড়া ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাফির কথাপোকথন লক্ষ করে নিরব ভূমিকা পালন করেন এবং শেষে ইউএনও ঘটনাস্তল ত্যাগ করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আমন্ত্রণ জানিয়ে চলে যান। সেই সময় উপস্থিত জনতার সামনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি লক্ষ করে হত্যার হুমকি সহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে চিল্লাফাল্লা করতে থাকে সুদ করাবারি দুলাল। উপস্থিত জনতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে নিরাপত্তা দিয়ে সাংবাদিকদের ঘটনাস্তল ত্যাগ করার সহযোগিতা করে।

কেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছেনা মর্মে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় মামলাটি প্রসিকিউশন কেটে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আগের একাধিক নিউজের সাক্ষৎকারে তিনি বলেছেন সাংবাদিকদের কোন দোষ বা সংশ্লিষ্টতার খবর আমরা পাইনি।

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *