বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় দরবার শরীফসহ প্রতিষ্ঠিত মাদ্রসার সংস্কার কাজের,বাঁশ-খুটি ভেঙ্গে ছাউনির টিন গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহসপতিবার (২১-০৪-২০২২) উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আব্দুল মান্নান ভান্ডারী।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ সালে দানকরা জমিতে গাউসুল আযম রাহমানিয়া মান্নানীয়া দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করা হয়। জমি দাতারা হলেন- লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা শুকুর প্রামানিকের ছেলে আমজাদ হোসেন ও তার মাতা আতরজান এবং আমির প্রামানিকের ছেলে জমসেদ প্রামানিক। ২০১৮ সালে দান করা সেই জমির উপর ফুরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মান্নান। এর পর সেখানে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলাকালিন সময়ে করোনকালের আর্তনাদে,শিক্ষাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পুনরায় মাদ্রাসার শিক্ষাদান কার্যক্রম শুরু করার জন্য বাঁশ-খুটি লাগিয়ে মাদ্রসাসহ দরবার শরীফের বাউন্ডারীর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন আব্দুল মান্নান। গত বৃহসপতিবার জমিদানকারি আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে মোঃ হালিম ও মোঃ শেখ রাসেল,হারান প্রমানিকের ছেলে একরাম আলী ও আমির প্রামানিকের ছেলে আনসার আলী প্রতিষ্ঠানটির বাউন্ডরিীর বাঁশ-খুটি ভাংচুর করে ছাউনির টিন গুড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেখ রাসেল বলেন, আমার পিতার জীবদ্দশায় প্রতিষ্ঠিত দরবার শরীফের ভেতরে মাদ্রাসা করার জন্য জমি দান করেছেন,এটা সত্য। সেই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য তাগিদ দিয়ে, দরবার শরীফের কার্যক্রম চালানোর জন্য বলেছেন। তার এক আতœীয় একরাম আলী অংশীদারিত্ব দাবি করে অনাকািঙ্খত কাজটি করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারি অফিসার এসআই মুজিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিপক্ষদের বাঁশ-খুটি লাগিয়ে ঘর তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। প্রতিপক্ষরা সেই কাজটি করে দিতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, জমিদাকারি আমজাদ হোসেন ও তার মাতা আতরজান মারা গেছেন।