বাঘায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ভূ’মিহীন- গৃহহীন পরিবার

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি : বাঘায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের সেমি.পাঁকাঘর ও খাবার পেলেন ৪০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী

উপলক্ষে উপহারের ঘরগুলোর দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের
আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের দেওয়া ঘরের উদ্বোধনের পর বাঘা উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের নিকট ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়।
একই সাথে প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এককেজি লবণ, চিনি এক কেজি, দুই কেজি চিড়া দুই কেজি, ভোজ্যতেল এক লিটার দেওয়া হয়েছে।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক
আশরাফুল ইসলাম বাবুল, বাঘা পৌর মেয়র আবদুর রাজ্জাক, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া আজিজ সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার, গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ সাংবাদিক ও উপকারভোগীরা।

সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ঘরের জন্যব্যয় হয়েছে দুই লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। দুই শতাংশ জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট নির্মিত ঘরে রয়েছে, বারান্দা, টয়লেট, রান্না ঘর। ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর নিচপলাশী, হাবাসপুর ও হেলালপুর এলাকায়। উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১৬টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৫টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৭৫টি ঘরের মধ্যে সম্পন করা
৪০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।

খানপুর গ্রামের আওয়ারী বেওয়া বলেন, আমার স্বামী ২০ বছর আগে মারা গেছে। এক সন্তান নিয়ে ভাই এর বাড়িয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। ভাইয়ের সাংসারিক অবস্থাও ভাল না। ছেলেও অন্যত্রে বিয়ে করে চলে গেছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধান মন্ত্রীর ঘর দেওয়ার বিষয়ে জানার পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘর পেয়েছি। তাঁর সাথে কিছু খাদ্য সামগ্রী পেয়েছি।

উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের খাজের মন্ডল বলেন, আমার যে জমি ছিল কয়েক বছর আগে পদ্মা নদীতে ভেঙে গেছে। তারপর থেকে ছন্নছাড়া হয়ে এখানে সেখানে
বসবাস করছিলাম। খানপুর নিচপলাশী গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পেয়েছি। সেই ঘরে এবার ঈদ করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, তৃতীয় ধাপে ৭৫টি ঘরের মধ্যে ৬৫ টি ঘরের কাগজপত্র-দলিলাদি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্পন্ন

করা হয়েছে ৪০টি ঘর। ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ৪০ টি পরিবারকে দলিল ও চাবি হস্তান্তর করে প্রত্যেককে ঘর বুঝে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ঘরগুলো বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আগেই হন্তান্তর করা হবে। এর সাথে বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *