রাব্বানীর সাথে চেয়ারম্যান আতাউরের ছবি, তোলপাড় তানোর

রাজশাহী লীড

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে এক সালিশে বাঁধাইড় ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের সাথে নানা বিতর্কিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী ও তার বিতর্কিত ভাই শরিফুল ইসলামের সাথে এক টেবিলের ছবি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে রাজনৈতিক অঙ্গনেও বইছে নানা প্রতিক্রিয়া।

রোববার দিবাগত রাত প্রায় ৮ টা ৪৭ মিনিটের দিকে জনতার সাথে প্রতিদিন ফেসবুক আইডিতে পাওয়া যায় ছবিটি। সাথে সাথে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেতাকর্মীরা। কারন গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আতাউর। আর তার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল প্রতীকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোট করে পরাজিত হন গোলাম রাব্বানীর ভাগ্নে টাকা ওয়ালা রফিকুল ইসলাম। তার আগ থেকেই রাব্বানী বিরোধী আতাউর হিসেবে রাজনীতি করে আসছে। কিন্তু উত্তেজিত জনতা ঘরবন্দী করে রাখে চেয়ারম্যান আতাউর কে। বন্দী দশা থেকে মুক্ত হতে রাব্বানী ও তার ভাই শরিফুলের কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চেয়ে এবং অন্যায় ভাবে মারপিটের কারনে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে চেয়ে রক্ষা পায় আতাউর বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে অনেকেই বলেন তিনি জনগন ও দুই গ্রামবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের আগে রমজান মাসে উপজেলার বাধাইড় ইউপির গাল্লা বা চেয়ারম্যান আতাউরের গ্রামের এক মাদ্রাসার ছাত্র কে বৈদ্যপুর গ্রামের লোকজন মারপিট ও অপদস্থ করেন। এরই জেরে বৈদ্যপুর গ্রামের কিছু শ্রমিক গাল্লাগ্রামে ধান কাটতে আসলে চেয়ারম্যান আতাউরের নির্দেশে এবং তিনিসহ গ্রামের লোকজন এক শ্রমিক কে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে পড়ে। অভিযোগ পর্যন্ত হয়। দুগ্রামের জনসাধারণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে চেয়ারম্যানসহ তাদের লোকজন দের আবদ্ধ করে রাখে। এঘটনায় রোববার সকালের দিকে গাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উভয় গ্রামের বাসিন্দা সহ আশপাশের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে চলে সালিশ বিচার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিচারে থাকা এক ব্যক্তি জানান, সকাল থেকেই সালিশ বিচার শুরু হয়। প্রথম থেকেই রাব্বানীর ভাই শরিফুল ইসলাম ছিলেন। পরে দুপুর ২টার দিকে গোলাম রাব্বানী আসেন। এরসাথে চেয়ারম্যান আতাউর আসেন।

বিচারে আতাউর দোষ শিকার করে ক্ষমা প্রার্থনা চেয়ে রাজনীতির প্রতিহিংসাকে দায়ী করে প্রকাশ্যে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে রাজি হয়।

উপজেলার এক শীর্ষ নেতা জানান, তিনি ওই ইউপির নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি কেমন জনপ্রতিনিধি যে তাকে অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। আবার বিদ্রোহীরা বিচার করছেন, আর সেই বিচারে তাদের সাথে এক টেবিলে বসে জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে জরিমানা দিচ্ছেন। এটা অত্যান্ত লজ্জার। তাহলে বুঝতে হবে তিনি কেমন চেয়ারম্যান। তিনি এধার মেউ ওধার মেউ।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *