তানোরে এক ছাত্রীর নগ্ন ভিডিওর মুল্য ৬৫ হাজার টাকা!

রাজশাহী লীড

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রীর নগ্ন ভিডিওর মুল্য ৬০ হাজার টাকা করে রফাদফা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তালন্দ বাজার এলাকায় ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও রহস্য জনক কারনে আমলে না নিয়ে ওসি আপোষ মিমাংসা করতে বলেন বলে নিশ্চিত করেন ছেলের পিতা মামুন। এমনকি ওই ছাত্রী সংখ্যালুঘু হওয়ায় স্হানীয় শিক্ষক ও প্রভাব শালীদের হুমকি ওসির দায়সারার কারনে রফাদফা করতে বাধ্য হন মেয়ের পরিবার বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গত রোববার তালন্দ বাজারের বক্স মার্কেটের হোমিও চিকিৎসালয় নিমায়ের দোকানে হয় সালিশ বিচার। ফলে স্পর্শ কাতর ঘটনা মিমাংসা হওয়ায় এলাকা জুড়ে বইছে সমালোচনা। সেই সাথে বিচারকদের শাস্তির দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার তালন্দ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল হোসেন ঈদের আগেরদিন দুপুরে সংখ্যালুঘু ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বাথরুমে গোসল করছিল। এসময় প্রাচীর টপকে গোসল করা নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন নাজমুল। ভিডিও ধারণ করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরে নাজমুলের ভিডিও করা মোবাইল কেড়ে নেয় ওই ছাত্রী । কেড়ে নিয়েই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভিডিওসহ লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। রফাদফার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে তালন্দ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাব, হোমিও চিকিৎসক নিমাই, মেয়র ইমরুলসহ কিছু ব্যক্তিরা।

নাম প্রকাশ না করে বেশকিছু ব্যক্তি জানান, গত রোববার সন্ধ্যার দিকে প্রধান শিক্ষক আলতাব আপোষ নামা লিখে ও ৬০ হাজার টাকা নিমায়ের দোকানে দিয়ে মেয়ের পিতাকে দিতে বলেন। নগ্ন ভিডিও ধারণ করে এভাবে বিচার হলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভনা থাকে।

প্রধান শিক্ষক আলতাব টাকার দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন আমি আপোষ নামা লিখে দিয়েছি। কি বিষয়ে আপোষ মিমাংসা লিখেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান উভয়ের পরিবারে তুচ্ছ ঘটনা মর্মে লিখা হয়। নগ্ন ভিডিওওর বিচার করতে পারেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান ওসি মেয়র ও পরিবারের লোকজন এবং তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মিমাংসা করা হয়েছে।

মেয়ের পিতা জানান, মেয়র ইমরুল ও প্রধান শিক্ষক এবং নিমায় মিমাংসা করেছে। তবে টাকার বিষয় অস্বীকার করেন।

ছেলের পিতা মামুন জানান, এলাকার সবাই মিলে ফায়সালা করে দিয়েছে। আমার ছেলে ভুল করেছিল ক্ষমা চেয়ে মিমাংসা হয়েছে, কোন টাকা দেওয়া হয়নি।

হোমিও চিকিৎসক নিমাই জানান, আমার দোকানেই ফায়সালা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক, মেয়র ও দু পরিবারের লোকজন ছিল।

মেয়র ইমরুল বলেন, সব ব্যাপারে মাথা দিতে হয় না। ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতেের কথা ভেবেই মিমাংসা করা হয়েছে।

এনিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তারা আইনগত সহায়তা নেয়নি বলে দায় সারেন।

 

স্বব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *