অবশেষে জরিমানায় ছাড় পেলেন চাল চোর যুবলীগ নেতা আলফাজ

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ওএমএসএর চাল চুরির অপরাধে অবশেষে জরিমানায় ছাড় পেলেন যুবলীগের দুই নেতা। গতকাল শনিবার সকালের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই যুবলীগ নেতার ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে সতর্ক করে দেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি। তারা হলেন ওএমএসএর ডিলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলফাজ উদ্দিন ও তার সহযোগী সহিদুল ইসলাম। তাদের বাড়ি তানোর পৌরসভার বুরুজ দক্ষিন পাড়া গ্রামে।

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার কাশিম বাজারে ওএমএসএর ডিলার হিসেবে আছেন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা আলফাজ উদ্দিন। তিনি গত বৃহস্পতিবার গুদাম থেকে চাল তুলে চোরাই ভাবে কালো বাজারে বিক্রির জন্য আরেক যুবলীগ নেতা সহিদুলের বাড়িতে। এঘটনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে
জানা গেছে, দরিদ্র অসহায় অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার বিশাল ভর্তুকির মাধ্যমে পৌর এলাকায় ওএমএসএর চাল ও আটা বিক্রি শুরু করেন। ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতিদিনই একজন ডিলার এক মে; টন চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রির নিয়ম। প্রতিজন ব্যক্তি দিনে ৫ কেজি করে চাল ও ৫ কেজি করে আটা কিনতে পারবেন। তানোর পৌর এলাকার তিনটি ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। পৌর এলাকার কাশেম বাজার পয়েন্টে বিক্রি করেন ডিলার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলফাজ। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবারে চাল উত্তোলন করে তার সহপাঠী বুরুজ দক্ষিন পাড়া গ্রামের সহিদুলের বাড়িতে ১৬ বস্তা চাল চুরি করে বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন। এঘটনায় গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে অভিযান চালিয়ে সহিদুলের বাড়িতে ১৬ বস্তা চাল জব্দ করে রাখেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করা হয়েছে। তবে চালের বস্তা পাল্টিয়ে রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্হা নেওয়া হবে। তদন্তে প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্হা, কোন ছাড় না।

সহিদুল জানান, আমার স্ত্রী অসুস্থ, এজন্য অল্প অল্প করে কিনে রাখা হয়েছে।

ডিলার আলফাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি বোনের বাড়িতে আছি পরে কথা বলছি বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

গ্রামবাসী বলেন, গরীবের জন্য বিশাল ভর্তুকির মাধ্যমে সরকার চাল দিচ্ছেন। আর সেই চাল চুরি করে বিক্রি করে অন্যের বাড়িতে রাখা হচ্ছে। গরীবের পেটে লাথি মেরে আলফাজ ও সহিদুল চাল চুরি করার পর কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হল না। এসব কারনে এমপির বদনাম। এদের মত ব্যক্তিদের দলে রাখাই টিক না। তাদের জন্য সবার বদনাম বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *