বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রমে অনুষ্ঠিত মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাজশাহীস্থ, ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটী। শনিবার (১৪ মে) বিকাল পৌণে ৪টায় অনুষ্টানে যোগ দেন তিনি। এ সময় তাকে ক্রেষ্ট উপহার দিয়ে সন্মাননা জানান আড়ানী পৌর সভার মেয়র মুক্তার আলী ও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান আয়োজক কমিটি। পরে আশ্রমের ইতিহাস সংবলিত একটি মানপত্র প্রদান করেন আশ্রমের পরিচালক ও অধ্যক্ষ জিতেন্দ্র নাথ চৌধুরী।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার বলেন,অনুষ্ঠানের সুষ্ঠ সুন্দর পরিবেশ দেখে আমি অভিভুত হয়েছি। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা বলেন। মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আড়ানী মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস জানান,সন্ধ্যার আগে ৬টায় তিনি অনুষ্ঠানস্খল ত্যাগ করেন।
উপস্থিত ছিলেন বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঔক্য পরিষদের সভাপতি রাম গোপাল সাহা, সাবেক সভাপতি শান্তি রঞ্জন সরকার, জেলা পরিষদের সদস্য জয়জয়ন্তী সরকার মালতী, আড়ানী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর কার্তিক চন্দ্র হালদার প্রমুখ।
মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সরকার জানান, বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায়, দেশ মাতৃকার ও জাতির মঙ্গলার্থে ২৪ প্রহর তিনদিন ব্যাপী ৪৫ তম মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১১ মে রাত ৯টায় মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, বাগেরহাটের অষ্ট সখী সম্প্রদায়, ঢাকা মানিকগঞ্জের নিত্য নিরাঞ্জন সেবা সংঘ, গোপালগঞ্জের প্রভুপ্রাণ কিশোর সম্প্রদায়, মাগুড়ার মা দুর্গা সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জের মাধবী লতা সম্প্রদায়, রাজবাড়ীর নব নিত্য নিরঞ্জন সম্প্রদায় এবং আড়ানী ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রমের পাগলা বাবা সম্প্রদায় সহ সাতটি দল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আশ্রমটি ধ্বংস করে। পুণঃসংস্কারের পর ১৯৯২ সালের ৭ নভেস্বর আশ্রমটি জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে ভাংচুর, লুটপাট ও অঘিœসংযোগ করা হয়েছিল। তারপর আশ্রমের পরিচালক ও অধ্যক্ষ পাগলা বাবা জিতেন্দ্র নাথ চৌধুরী ভারতে চলে যায়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি’র সহযোগিতায় নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।