নুর মোহাম্মাদ কান্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিবেশিরা

কৃষি রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদরে নুর মোহাম্মাদের জমির ধান সরিয়ে কৃষক রা ধান বাড়িতে আনার জন্য হামলা মামলার স্বীকার হয়েছেন। এঘটনায় নুর মোহাম্মাদ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কাী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন দেন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে নুর মোহাম্মাদ নারাজি আবেদন করার জন্য মহামান্য আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন। শুধু মাত্র পাকা ধান জমিও থেকে বাড়িতে আনার অপরাধে কৃষকরা তার মামলার প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করেন মামলার আসামি ওহাব সরদার।

তিনি আরো গত ডিসেম্বর মাসে আমার জমির ধান আনতে নুর মোহাম্মাদের জমির উপর দিয়ে আসতে হবে।কিন্তু নুর মোহাম্মাদ আনতে দিবে না। আমি শ্রমিক দিয়ে বাড়তি খরচে বাড়িতে ধান আনি। তার সাথে কোন কথা পর্যন্ত বলিনি।তারপরও আমি হামলা করে তার গবেষণার ধান নাকি তছনছ করেছি। আমাকে পরিকল্পিত ভাবে মামলার আসামি করেছে। সে কখন কি বলছে ঠিক নেই। আবার আমি তার মিমাংসা করে দিই নি বলে আমাকে আসামি করেছে বলেও অনেকের কাছে বলেছে। তিনি ধান গবেষণা করেন, তাকে স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানী বলা হয়। তিনিও তো আমাদের জমির উপর দিয়ে ধান নিয়ে যায়। সামান্য বিষয় কে নিয়ে অনেক দুর নিয়ে গেছে।
স্হানীয় রা জানান, নুর মোহাম্মাদ শুধু এদের না যারাই তাকে কিছু বলেছে তাদেরকেই তিনি ফাসিয়েছেন। এমন অনেকে তার রশানলের শিকার হয়েছে। তাকে বাড়ির লোকজন তো দূরে থাক প্রতিবেশীরাও দেখতে পারেনা।ঘর পরিবার পরিজন বলতে তার কিছুই নেই। একটু সুযোগ পেলেই কৃষকদের বিপদে ফেলাই তার অন্যতম কাজ।
গোল্লাপাড়া গ্রামের মুরাদ জানান, নুর মোহাম্মাদ প্রতিহিংসা নিয়ে সবকিছু করে থাকেন। ওহাব সরদার তার জমিতে যায়নি, তার ধানে হাত পর্যন্ত দেয়নি। তিনি বাড়তি খরচে ধান বাড়িতে নিয়ে আসেন। আর তাকেই মামলার আসামি করা হয়েছে এর চেয়ে মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। তার জমির পাশে যাদের জমি আছে তারাই প্রতিহিংসার শিকার হন।

ফিটু নামের আরেক কৃষক জানান, নুর মোহাম্মাদ একটা অসামাজিক আচরণ ব্যক্তি। তার সকলের সাথে মনোমানিল্য। তাকে এলাকার সবাই বিষয় টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি কারো কথায় কর্নপাত করেন নি।

সুত্রে জানা যায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তারিখে ধান উত্তোলন কে কেন্দ্র করে তার প্লটের কয়েক আটি সরিয়ে ধান নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল হয়।এঘটনায় নুর মোহাম্মাদ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সরেজমিনে তদন্ত করে যা সঠিক সেটাই আদালতে প্রতিবেদন হিসেবে দেন। গত ৮ মে ধার্য দিনে প্রতিবেদনে বাদি সন্তোষ কিনা জানতে চেয়ে আদালত চিটি দেন। প্রেক্ষিতে নুর মোহাম্মাদ নারাজি দেওয়ার জন্য সময় চান। এঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্হানীয় জনসাধারন। যেকোন মুহূর্তে নুর মোহাম্মাদের এমন মিথ্যা মামলার জন্য বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল সহ নানা কর্মসূচী ঘোষণা হতে পারে।

নুর মোহাম্মাদ জানান এসব বিষয়ে আমার কিছুই করনীয় নাই। যা কিছু হচ্ছে উপরের নির্দেশে।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *