বাঘা প্রতিনিধিঃ বাঘায় নিহতের জানাযা নামাজ শেষে দাফনের পর গত শনিবার (১৪-০৫-২০২২) রাতে নিহত সেন্টু আলীর মেয়ে তাসলিমা আকতার বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়,এ মামলায় কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।
মামলার বাদি তাসলিমা আকতার এজাহারে বলেন, গত বুধবার (১১ মে) সন্ধ্যার আগে বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাই সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বাঘার পার্শ্ববর্তী লালপুরের নওপাড়া বাজারে গিয়ে সেখানকার মুদি ব্যবসায়ী পল্লবের দোকানে সাড়ে ৬টায় বাই সাইকেল রেখে বাজারের ভেতরে যায়। তার ফিরে আসা না দেখে ব্যবসায়ী পল্লব রাতে দোকান বন্ধ করে বাইসাইকেলটি নিহতের জামাতা শাওন আলী সুরুজের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। মরদেহ উদ্ধারের আগে নিঁেখাজ ছিল সেন্টু আলী।
নিখোঁজের ৩দিন পর, শনিবার (১৪ মে) সকালে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার পদ্মার বাঁধের দক্ষিনে খামার চৌহুদি নামে পরিচিত এলাকার আব্দুল খালেকের পেয়ারা বাগান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খামার চৌহুদি নামে পরিচিত এলাকায় আব্দুল খালেকের পেয়ারা বাগানে কাজে গিয়ে দুই শ্রমিক আছান আলী ও আবদুল্লাহ মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশকে অবগত করে। নিহত সেন্টু আলী উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত আজের উদ্দিন চৌকিদারের ছেলে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে মাগরিব নামাজের আগে জানাযা নামাজের পর স্থানীয় সুলতানপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সেন্টুর স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, নিখোঁজের বিষয়টি থানাকে অবগত করানো হয়নি বলে জানান মাহমুদা। তবে নিখোঁজের পর বিভিন্নস্থানে খোঁজ খবর নিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলা তদন্তকারি অফিসার আব্দুল করিম জানান, নিখোঁজের পর লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে জানানো হয়নি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হযেছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।