বাঘা প্রতিনিধি: অর্থ সংকটে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার দুঃচিন্তায় পড়েছে, সড়ক দূর্ঘনায় রাজবাড়ী জেলায় নিহত বাঘার পরিমল ঘোষ (৪০) এর পরিবার। রোববার (২২ মে) দুপুরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায় । রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মামুন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যুও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত পরিমল ঘোষ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের নুরনগর খয়েরমিল গ্রামের মৃত যুগোল ঘোষের ছেলে। ২ভাইয়ের মধ্যে ছোট পরিমল। ৩/৪ বছর আগে মেঝ ভাই প্রকাশ ঘোষ মারা গেছে চাপাই নবাবগঞ্জের। সেখানে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে থাকতো প্রকাশ ঘোষ। এখন বেঁচে থাকলো বড়ভাই তাপস ঘোষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রিকসা থেকে পড়ে মাথায় লেগে গুরুতর আহত হন পরিমল। অজ্ঞাত পরিচয়ে রোববার দুপুর পৌণে ১টায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পথচারিরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোয়া এক টায় মারা যায়। মৃত্যুর আগে তাঁর দেওয়া নাম ঠিকানা অনুযায়ী তার কাছে মোবইল ফোন ও কয়েকজনের ভিজিটিং কার্ডে থাকা মোবইল নম্বরে যোগাযোগ করে মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়।
পরিমলের বড় ভাই তাপস ঘোষ বলেন, মৃত্যুর বিষয়ে জানার পর,সেখান থেকে মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার বিষয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন। রাজশাহী শহরে ঘি বিক্রি করে সংসার চালায়। দিন এনে দিন খায় । অভাবের সংসাওে ভাইয়ের মরদেহ কিভাবে আনবো,তা নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছি। ২/৩ মাস আগে আমার বাসায় এসে উঠেছিল। গত মঙ্গলবার(১৭ মে) রাজশাহীতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে চলে যায়। এর পরে তার সাথে যোগাযোগ হয়নি। তিনি বলেন ১৫ বছর আগে তার মা মায়ারানি মারা যায়। বাবা মারা যাওয়ার ১ বছর আগে মারা যায় মা মায়া রানি। মা-বাবা বেঁচে থাকতে একজন মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। কয়েকদিন পর সেই স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। প্রায় ১৩/১৪ বছর পর ২/৩ মাস আগে আমার বাড়িতে এসেছিল। তার কাছে জানতে পেরেছি স্ত্রী নাকি তার কাছে থাকেনা।পরিমল কোথায় কি করতো,সে বিষয়ে জানতেননা তাপস ।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অস্বাভাবিক মৃত্যু বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে রাজবাড়ি থানার ওসির সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।