তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বজ্রপাতে রবিউল ইসলাম নামের এক কৃষকে ভরন গাভী গরু এবং বিধবা কৃষাণী ফেলানীর ছাগল মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেন স্হানীয়রা। শুক্রবার সকালের দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মালশিরা গ্রামের ধানী মাঠে ঘটে ঘটনাটি। বিশেষ করে বিধবা ফেলানী ছাগল হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। কারন তিনি ছাগল পালন করেই জীবিকা নির্বাহ করেন এবং মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালের দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মালশিরা গ্রামের মহিরের পুত্র রবিউল ইসলাম বেশ কয়েকটি গরু নিয়ে গ্রামের উপর প্রান্তে ধানী জমির পাকা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যান। আর ওই গ্রামের লগর মুন্নার তালাক প্রাপ্ত মেয়ে ফেলানী নিচ মাঠে প্রতিদিনের মত বেশ কয়েকটি ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায়। এ-সময় হঠাৎ আকাশে কালো মেঘের সাথে চলে বজ্রপাত। বজ্রপাতে মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় মারা যায় গরু ও ছাগল।
ফেলানী জানান নানা কষ্ট করে ছাগল পালন করি। বজ্রপাতে একটি ছাগল মারা গেল। খুব কষ্ট হচ্ছে বলে ভেঙে পড়েন।
স্হানীয়রা জানান, ফেলানীকে দীর্ঘদিন আগে তার স্বামী তালাক দেয়। পিতার বাড়িতে থেকে ছাগল লালন পালন করেন। তার ৫/৬টির মত ছাগল আছে। এটাই তার মুল জীবিকার উৎস। ছাগল হারিয়ে তিনি চরমভাবে ভেঙে পড়েছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন প্রামাণিক জানান, তার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। কোন ধরনের সহযোগিতা আসলে অবশ্যই পাবে তারা। এছাড়াও একই দিন মালশিরা গ্রামের রবিউল ইসলামের ভরন গাভী বজ্রপাতে মারা গেছে। তিনিও গরু লালন পালন করেন। তারও রয়েছে ৪/৫ টির মত গরু।
রবিউল জানান, মাঠে গরু নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিকট বিকট বজ্র শুরু হয়, আর বিজলি চমকায়। এসময় আমার ভরন গাভীটি মারা গেল। বাকি গুলো আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, সরকারি ভাবে এঘটনায় কোন সাহায্য সহযোগিতা আসলে অবশ্যই তারা পাবেন। তারপরও খোঁজ খবর নিয়ে সহযোগিতা করার জন্য একান্ত প্রচেষ্টা করা হবে।