তানোরে অবৈধ ফার্মেসীর ছড়াছড়ি,নিরব প্রশাসন

রাজশাহী লীড

তানোর প্রতিনিধি: কোন ধরনের অনুমোদন নেই, ইচ্ছে মত চলছে মানুষের জীবন বাঁচানো ঔষধের দোকান গুলো। চিকিৎসা সম্পর্কে কোন কিছু না জানলেও দিচ্ছেন চিকিৎসা। আর এতই ঔষধের দোকান হয়েছে ক্ষোদ মেডিকেলের কাছেও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আবার কতটার অনুমোদন আছে সেটাও জানেন না। কোনভাবেই লাগাম টানতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহীর তানোরে আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার ফার্মেসির দোকান। এমনকি গ্রামের মুদি দোকানেও চলে ওষুধের ব্যবসা। আর এসব ব্যবসায়ীরা হায় পাওয়ারের এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিলে সাময়িক ভালো হলেও পরবর্তীতে নানা ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এমনকি কথিত গ্রাম ডাক্তারের নামমাত্র ট্রেনিং নিয়ে অবাধে এমবিবিএস ডাক্তার দের মত রোগী দেখে ফি আদায় করেন।

জানা গেছে, সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলাটি। মুন্ডুমালা হাট উপজেলার মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবহন করছে। তানোর পৌরসভা সদরের গোল্লাপাড়া, হাট, বাজার , কালিগন্জ হাট বাজার, তালন্দ হাট বাজার, কলমা ইউপির কলমা বাজার, বিল্লি, দরগাডাঙ্গা, কামারগাঁ, মাদারিপুর চৌবাড়িয়ার কিছু অংশ, লালপুর, পাকুয়া, বিনোদপুর, পাঠাকাটা, কৃষ্ণপুর, চান্দুড়িয়া হাট বাজার এবং , কাশেম বাজার, মেডিকেল মোড়, গোল্লাপাড়া থানা মোড়, চাপড়া এসবসহ প্রতিটি গ্রামের মোড়েও রয়েছে ফার্মেসি দোকান । অবাক করার বিষয় কামারগাঁ ইউপির মাদারিপুর বাজারেই, এসকে ফার্মেসীসহ, হাকিম বিলকিস, লামইয়া,সামাদ, দাস ও রিন্তি ফার্মেসীর অনুমোদন না থাকলেও অবৈধ ভাবে দেদারসে দীর্ঘদিন সময় ধরে ব্যবসা করে আসছেন। ভাগ্যও খুলে গেছে অনেকের। আবার ওই বাজারেই তুহিন ডেন্টাল কেয়ার নামে দাতের চিকিৎসা দিচ্ছেন হাফিজুল নামের ডাক্তার। শুধু মাদারিপুর না প্রতিট বাজারেই রয়েছে ফার্মেসির দোকান। অভিযান পরিচালনা করলে বেরিয়ে আসবে কত পরিমাণ অবৈধ দোকান রয়েছে। কিন্তু যারা অভিযান পরিচালনা করবেন তারাই তো একেক জন একেক রকমের কোসায়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ফার্মেসির দোকান দিতে হলে ফার্মাসিস্ট ট্রেনিং নিতে হবে। সেখানে পাশ করলে, ড্রাগ ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।। আবার কেউ জানান শুধু ড্রাগ লাইসেন্স নিয়েও ওষুধের দোকান দেওয় যায়। কিন্তু দোকান দিলেও ডাক্তারের অনুমতি সাপেক্ষে বিক্রি করতে পারবেন ঔষধ। এসবের কোন বালাই নেই। কয়েকদিন অভিযান করে রহস্য জনক কারনে বন্ধ।

সবচেয়ে অবাক করার বিষয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জানেনা বৈধ অবৈধ দোকানের হিসেবে। তাহলে কইমু কি এবং অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নেই অভিযান। থাকারও কথা না, কারন টাকা নামের বস্তু থাকলে সবকিছু সম্ভব।
একাধিক ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামীণ মোড়গুলো থেকে শুরু করে মুল মুল বাজারের ফার্মেসির ব্যবসায়ীরাই বড় চিকিৎসক। আর এসব নামধারী চিকিৎসকের বড় চিকিৎসক হচ্ছেন ওষুধ বিক্রয় কর্মীর। তাদের কোম্পানির ওষুধ প্রচারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে পরামর্শ দিয়ে সবকিছু করে থাকেন বিক্রয় কর্মীরা। এমনকি তারা রোগিও দেখেন। অবশ্য এক্ষেত্র নিয়ে বলার আছে বাসের হেলপারও গাড়ি চালাতে পারেন, আর উনারা তো কোন রোগের জন্য কোন ঔষধ সেটাও ভালই জানেন।

এসব বিক্রয় কর্মীরা কত আছেন বলাই কঠিন। কতটা কোম্পানি ওষুধ তৈরি করে এবং কোনটার মান ভালো কম এসব বিষয়ে জেন কোন মাথা ব্যাথাই নেই।

এছাড়াও অনেক ফার্মেসিতে, নেশাদ্রব্য বিক্রি হয় অবাধে । ওটোছিল, হিস্টাসিনসহ নানা ধরনের নেশায় আক্রান্ত তরুন শ্রমজীবীরা। অনেকের এই নেশার জন্য শরীর মোটা হয় পড়ে,রুচি থাকেনা শরীর নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। যাকে তানোরের ভাষায় বাটালু নামে পরিচিত।

বেশকিছু চিকিৎসকরা জানান, ফার্মেসির ঔষধ বিক্রির নিয়ম ডাক্তারের পেসকিপসনের মাধ্যমে। কিন্তু গ্রামের নামধারী চিকিৎসকরা মানুষের জীবন অকালেই ঝরে পড়ছে।কারন তারা আনুমানিকের ভিত্তিতে ঔষধ দেন। আর এসব খেয়েই অচিরেই জীবন ধ্বংস হচ্ছে।

এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও বার্নাবাস হাসদার মোবাইলে দুই দিন ধরে ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *