তানোরে বদলি হলেও আট বছর ধরে বদলানো হয়নি ওয়েবসাইটে নাম

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি : সবাই বলি ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সব কিছু ডিজিটাল হয়ে গেছে, মহাকাশে উড়ছে স্যাটেলাইট, আমরা ডিজিটালে আরো একধাপ এগিয়ে, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল সেবা গ্রামীণ পর্যায়ে পেতে প্রতিটি ইউপিতে রয়েছে তথ্য কেন্দ্র।, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়। কিন্তু অবাক করার ব্যপার আট বছর আগে কর্মকর্তা বদলি হলেও ওয়েব সাইডে নাম রয়েই গেছে। রাজশাহীর তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়েব সাইডের এমন বেহাল অবস্থা। ডিজিটাল ডিজিটাল করে ক্ষমতাসীনরা ফেনা তুলে ফেলল। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েব সাইড আবর্জনার মধ্যে রেখেছে। না হলে আপলোড তো হত। ওয়েব সাইড তো দুরে থাক বছরের পর বছর একাধিক ডাক্তারেরা না এসেই বেতন খাচ্ছেন। তাহলে ওয়েব সাইডের অবস্থা এমন হওয়া খুব একটা কঠিন বিষয় না। এজন্য ব্যবহার হয় না। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় চরম ক্ষুব্ধ সচেতন মহল।

জানা গেছে, কিছু বিষয়ে তথ্য পেতে হাসপাতালের ওয়েব সাইড প্রবেশ করা হয়। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে নাম আছে ডাঃ মোঃ সুকুর মোল্লার। অবশ্য ওয়েব সাইডে মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান আমি তো ২০১৪ সালের দিকে বদলি হয়েছি। আমার নাম কেন ওয়েব সাইডে থাকবে। কর্মকর্তা আসামাত্রই ওয়েব সাইডে নাম তুলতে হবে। আর আট বছর পার হলেও আমার নাম রেখে দিয়েছে। এখন ডিজিটাল যুগ। কর্মকর্তার নাম মোবাইল নম্বর পেতে কষ্ট হয় না। ওয়েব সাইড দেখে মাঝেমধ্যেই অনেকে ফোন দেন, এটা বিব্রতকর। আট বছরে অনেকে এসেছেন বদলিও হয়েছেন কারো নাম নাই। হাসপাতালের কর্মকর্তারা যদি এত উদাসীন হয় তাহলে তো কিছুই বলার থাকেনা বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা ।

আবার উপজেলার ওয়েব সাইডে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বার্নাবাস হাসদার নাম রয়েছে। তিনি বর্তমানে এপদে বহাল। আবার ওয়েব সাইডে তানোর পৌরসভা মেয়রের নাম আছে মিজানুর রহমান মিজান ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীরও নাম আছে। অথচ তারা কেউ এখন মেয়র না। প্রায় দেড় বছর আগে নির্বাচনে তানোর পৌর মেয়র হন ইমরুল হক ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র হন সাইদুর রহমান। কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলাম বদলি হলেও ওয়েব সাইডে নাম বহাল।

অথচ ওয়েব সাইডে নিয়োমিত সকল ধরনের তথ্য আপলোডের জন্য তথ্য কর্মকর্তা, আইসিটি অফিসার পর্যন্ত রয়েছে ।

বেশ কিছু কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সরকার সকল ধরনের সেবা অনলাইনে করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইন্টারনেটে সংযোগের জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন । প্রতিটি দপ্তরের সকল তথ্য থাকবে নিজ নিজ ওয়েব সাইডে কিংবা উপজেলার মুল ওয়েব সাইডে।তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হাতের মুঠোয় পৃথিবি। দেশের স্যাটেলাইট মহা আকাশে। তাহলে এসব ওয়েব সাইডের এমন করুন অবস্থা কেন।

এদিকে আট বছর অতিবাহিত হলেও মেডিকেলের ওয়েব সাইডটিকে সিজার নচেৎ এক্সে করে হলেও আলডোল দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

আর যাদের এসব দায়িত্ব তারা কি হিমাগারে না আইসিইউতে আছে যে তাদের কোন গুরুত্ব নেই। সরকারের বেতন ভাতা ঠিকই নিচ্ছেন।

মেডিকেলের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে জানান, ওয়েব সাইডে তথ্য দিলে দূর্নীতি কিভাবে হবে, রাতের আধারে কিভাবে চুরি করে ওষুধ বিক্রি হবে, বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে টাকা খাওয়া যাবে না বছরের প্রায় সময় প্রকল্প চলে, কিন্তু কর্তারা ছাড়া কেউ জানেনা। মেডিকেলে প্রায় সেক্টরে অনিয়ম দুর্নীতি। এসব বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করলেই মিলবে ভয়াবহ দূর্নীতি।

এসব বিষয় জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বার্নাবাস হাসদার ০১৭৬৯-৯৬১৬৬১ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *