সারোয়ার হোসেন, তানোর : রাজশাহীর তানোরে বোরো ধান উত্তোলনের পর পরই শুরু হয়েছে রোপা আমন রোপনের হিড়িক। আবার কেউ কেউ আকাশের বৃষ্টিতে রোপা আমন ধান চাষের জন্যে সকাল থেকে জমিতে ট্রাকটার ও গরুর লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ করে প্রস্তুত করে রাখছেন জমি।
জানা গেছে, রোপা আমন ধান চাষের জন্যে ডিপ বা মোটরের পানির তেমন প্রয়োজন হয়না। আকাশের বৃষ্টিতেই হয়ে যায় রোপা আমন ধান চাষ। ফলে অন্য আবাদের চাইতে তুলনামূলক ভাবে রোপা আমন ধান চাষের জন্য কৃষকের খরচ খুব কম হয়। এতে করে কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষের জন্য বেশি ঝুঁকি নেয়। তানোর পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের কৃষক বাসির উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম বলেন, অন্য আবাদের চাইতে রপা আমন ধান চাষে খরচ খুব কম হয়। রোপা আমন ধান চাষ আকাশের বৃষ্টির পানিতে বেশিরভাগ হয়ে থাকে। এতে অল্প খরচে বেশি লাভবান হয় কৃষকরা। যার কারণে আমন ধান চাষের জন্য কৃষকরা বেশী উৎসাহিত হয়। তানোর উপজেলার যশপুর গ্রামের কৃষক ইনছান আলী জানান, তিনি প্রতিবার প্রায় ১২ থেকে ১৫ বিঘা করে রোপা আমন ধান চাষ করেন। এবারেও তিনি প্রায় ১৬বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করার জন্য ইতিমধ্যে জমি হালচাষ করে প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। সপ্তাহ খানের মধ্যে তার সব জমি রোপণ করা শেষ হবে। তবে এবার ডিএপি সার ও পটাশ সার সহজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আবার বেশি দাম দিলেই মিলছে পটাশ সার ও ডিএপি সার। অনেকে পটাশ সার ছাড়াই রোপা আমন ধান রোপণ করছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ,এবার চলতি মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২২হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অর্জন হয়েছে ২১হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহম্মাদ সাইফুল্লাহ জানান,রোপা আমনের এই একটি আবাদ কৃষকের অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি কোন দূর্যোগ বালাই না হয় তাহলে রোপা আমনের ফলনও খুব ভালো হয়। আর কৃষকের রোপা আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সেজন্যেও প্রতিনিয়ত কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হয় বলে জানান তিনি।
স্ব.বা/বা