জালিয়াতি করে মালিকানাধীন জমি রেজিষ্টি, জাল দলিলের হোতারা জেলে

অন্যান্য রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি : বাঘায় জালিয়াতির মাধ্যমে মালিকানাধীন জমি জাল দলিলে রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমির মালিক খাজিম উদ্দিনের মৃত্যুর পর সংঘবদ্ধ চক্র আড়ানী বাজার এলাকার ৮ শতাংশ জমি জাল দলিলে রেজিষ্ট্রি করে নেয়

২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মাসে ওই জমি বাঘা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে মামলার ১নং বিবাদি সাহাদুল ইসলামের নামে দানসত্ত রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভূয়া মালিক সেজে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি বিক্রি ও রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার তুঘলকি কান্ডে সংশিষ্টদের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ও জমির প্রকৃত মালিক।

এ মামলায় রাজশাহীর বাঘা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকসহ ৫জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৩ আগষ্ট) রাজশাহী চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর না করলে,তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। এরা হলেন, বাঘা উপজেলার দিয়ার কাদিরপুর গ্রামের মৃতঃ আকছেদ আলির ছেলে বাঘা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক উম্মত আলি, আড়ানির ঝিনা এলাকার রাহাত উদ্দিনের ছেলে আয়েজ উদ্দিন, আড়ানি হামিদকুড়া এলাকার মোতাহার হোসেনের ছেলে আলম হোসেন,চারঘাট বাটিয়াকান্দি এলাকার সাদেক মন্ডলের ছেলে সাহাদুল মন্ডল, একই গ্রামের সাহাদুলের ভ্যাগনা রিপন আলি ।

জানা যায়, বিষয়টি গোপন রাখার পর আড়ানী এলাকার অমল কর্মকারের নিকট ৪ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন সাহাদুল ইসলাম। অমল কর্মকার দলিল মূলে ওই জমি দখল নিতে গেলে মৃত খাজিম উদ্দিনের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্টু বিষয়টি জানতে পারেন। মামলার বাদি জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, তার পিতা মারা যান ২০১৪ সালের ১৪ আগষ্ট মাসে । আর জমি রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ।

বিষয়টি জানার পর রেজিষ্ট্রি দলিলের সকল কাগজপত্র উদ্ধার করে দলিল গ্রহিতা,সনাক্তকারি,সাক্ষী ও দলিল লেখকসহ ৫জনকে আসামী করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ধার্য্য তারিখ ছিল গত ৩১ জুলাই। বিবাদিরা ধার্য্য তারিখে আদালতে হাজিরা না হয়ে গত বুধবার( ৩ আগস্ট) আদালতে হাজির হয়ে একজন উকিলের মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জুলফিকার আলী বলেন, সাহাদুল ইসলাম আমার পিতার সম্পত্তির কোন ওয়ারিশ নয়। মামলা দায়েরের পর তাকে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন জুলফিকার আলী। তবে বিবাদিরা জেল হাজতে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। বিক্রেতা সাহাদুল ইসলাম কর্তৃক জমি ক্রেতা অমল কর্মকার বলেন, জমির কাগজপত্র দেখে সাহাবুল মোল্লার কাছে থেকে জমি ক্রয় করেছি। তাতে মনে হয়েছে জমি ক্রয় করা সঠিক আছে।

বাঘা সাবরেজিষ্ট্রার নকিবুল আলম বলেন, আমার যোগদানের আগের ঘটনা। তাই এ বিষয়ে কিছু জানেননা। তবে ভ’য়া মালিকনায় যদি জাল দলিলে জমি রেজিষ্ট্রারে দলিল লেখক এর সাথে জড়িত থাকে,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্ব.বা/ম

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *