তানোরে বালাইনাশক দোকানে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সার পটাশ

কৃষি রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এমওপি সার পটাশ বলে কৃষকের মধ্যে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিসিআইসি ও বিএডিসি এবং বালাইনাশক সাব-ডিলাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে সার পটাশ এনে অবৈধ ভাবে মজুদ রেখে কৃষকের কাছে থেকে বেশি দাম নিয়ে বিক্রি করছেন। ফলে কৃষকরাও বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে সার পটাশ কিনছেন।

জানা গেছে, তানোর উপজেলার যেকয়টি বিসিআইসি ও বিএডিসির নিযুক্ত ডিলার আছে তাঁরা কেউ বরাদ্দের সার পটাশ না এনে মকাম থেকেই বেশি দামে বিক্রি করে দেন। আর অল্প দামে কমা সার পটাশ এনে গোডাউন জাত করে বিক্রি করেন।

আর যদিও বরাদ্দের সার পটাশ আনা হয় তাহলে সেই গুলো স্থানীয় বালাইনাশক ও সাব-ডিলারদের কাছে চড়া মূল্য দিয়ে রাতারাতি বিক্রি করে দেন। এতে করে পর্যাপ্ত সার পটাশ বরাদ্দ থাকলেও সরকার অনুমোদিত ডিলারদের সিন্ডিকেটের জন্যই সার পটাশ সংকট সৃষ্টি হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় বিসিআইসি ও বিএডিসির ডিলার নিযুক্ত রয়েছে ৩২টি।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা ঘুরে দেখা গেছে, কামারগাঁ ইউপির চৌবাড়িয়া বাজারের জয়নব ট্রেডার্স,কলমা ইউনিয়নের বালাইনাশক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম,তানোর পৌরসভার তালন্দ বাজারের বালাইনাশক ব্যবসায়ী কাজল, বালাইনাশক ও বিসিআইসির সাব-ডিলার গণেশ নামের ব্যবসায়ী বেশি দামে পটাশ সার বিক্রি করছেন। প্রায় দিন গণেশ ও কাজলের দোকান থেকে ভটভটিতে করে পটাশ সার যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে। কাজল দাপটের সাথে বিসিআইসির পটাশ সার বিক্রি করছেন।প্রতি বস্তায় তিন শত টাকা থেকে পাঁচশত টাকা করে বেশি নিচ্ছেন। তারপরও মিলছে না পটাশ সার। ফলে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। অপর দিকে একেবারেই নিরব ভূমিকায় রয়েছে কৃষি দপ্তর। এতে করে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ।

তালন্দ বাজারের ফুটবল মাঠের দক্ষিণে কাজল ট্রেডার্স নামের বালাইনাশকের দোকান রয়েছে। গত রোববার তার দোকানের সামনে ছিল পটাশ সার। যে সার বিসিআইসির ডিলারদের কাছেও নেই। কিন্তু কাজলের বালাইনাশকের দোকান ও বাড়ি ভর্তি ছিল পটাশ সার। তিনি প্রকাশ্যে ১২শ’ টাকা বস্তা বিক্রি করছেন। আবার যারা এক শো দেড় শো বস্তা নিচ্ছে তাদের কাছে ১হাজার থেকে ১১শ টাকা করে বিক্রি করছেন কাজল। কিন্তু কোন ভাবেই মেমো দিচ্ছেন না।

তালন্দ বাজারের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক বলেন, তালন্দ বাজারের বিসিআইসির সাব ডিলার গণেশ সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রকাশ্যে বেশি দাম দিয়ে সার পটাশ বিক্রি করছেন। এছাড়া বাজারের প্রতিটি ক্ষুদ্র দোকানে বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। সব কিছু জেনে নির্বিকার কৃষি দপ্তর। কোন ধরনের নেই মনিটরিং। যার কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ। তবে কাজল জানান, বাড়তি দামে সার কিনে লোকসানে বিক্রি করব নাকি। কোথাও এরকম আছে। তাহলে মেমে দিচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে জানান মেমো ছাড়াই বেশি দামে বিক্রি করব বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে এবিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *