স্বদেশ বাণী ডেস্ক :নওগাঁর সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে সিমু বানু (৩৬) নামের এক গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনায় ভুক্তভোগী সিমু বানু নারী বাদী হয়ে চেয়ারম্যান রুবেল, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সুমিসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী সিমু বানু কাপড়ের ব্যবসায়ী । প্রতিদিনের মত গত বুধবার সকাল প্রায় পৌনে ১০ টার দিকে অটোচার্জার গাড়ীতে করে কাপড় বিক্রয় করতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় অটোচার্জারে থাকা অজ্ঞাত লোকজনের মুখে শুনতে পান চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান রুবেলকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে।
এরপর গাংজোয়ার স্কুলের পাশে ওইদিন সকাল সোয়া ১০ টার দিকে কাপড় বিক্রি করার সময় মেম্বার সুমির সাথে দেখা হয়। সিমু বানু জানতে চান. অটোচার্জার গাড়ীতে আসার সময় শুনলাম চেয়ারম্যান রুবেলকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে নাকি!
মেম্বার সুমি প্রশ্ন শুনে চেয়ারম্যান রুবেলকে মোবাইল ফোন করে। সেই রুবেল চেয়ারম্যানের ৭ থেকে ৮ জন অজ্ঞাতনামা লোক এসে তার গালে থাপ্পর মারে। একপর্যায়ে তারা তাকে এলোপাথারী ভাবে লাঠি দ্বারা মারপিট করে চেয়ারম্যানের বাড়ীতে নিয়ে যায়।
বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পরে চেয়ারম্যানের মা তার দুই গালে এলোপাথারী ভাবে থাপ্পর মারে। তাতে ভুক্তভোগী নারীর নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। এসময় রুবেল চেয়ারম্যানের হুকুমে মোঃ শরিফসহ অজ্ঞাতনামারা তাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে লাঠি দ্বারা এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা জখম করে এবং পরিহিত কাপড় ধরিয়া টানাহেচড়া করিয়া শ্লীলতাহান ঘটায়।
একপর্যায়ে চেয়ারম্যান জোরপূর্বক তার কাছে থেকে মিথ্যা জবানবন্দী মোবাইল ফোন ধারণ করে যে, সাবেক চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম মুকুলে ও মোঃ দুলাল মহরীরা তাকে প্রচার করতে বলেছে যে ” রুবেল চেয়ারম্যানকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে”। এসময় চেয়ারম্যান তাকে উলঙ্গ করে তার নগ্ন ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে ছেড়ে দিবে বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয় এবং সে থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ করলে তার বাড়ী ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবে বলেও হুমকি দেয়।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য সুমির কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ফোনে কোন কথা না বলে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে বলেন। এবিষয়ে চণ্ডীপুর ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েল।
স্ব.বা/ম