স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর একটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে ছিল বিপুল পরিমাণ চাল। চালের বস্তাগুলো খাদ্য অধিদফতরের দেখে কেউ একজন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হটলাইন ১০৬ নম্বরে ফোন করেছিলেন। দুদক কর্মকর্তারা সেই গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫৩ হাজার ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর সপুরা এলাকায় ‘চৌধুরী ফুড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুদামে এই অভিযান চালানো হয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের তত্ত্বাবধানে সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
অভিযানকারী কর্মকর্তা জানান, জব্দ করা চালের বস্তার সংখ্যা ১ হাজার ৩৬০টি। এসব বস্তার কোনোটিতে ৩০ এবং কোনোটিতে ৫০ কেজি চাল রয়েছে। মোট চালের পরিমাণ ৫৩ হাজার ৮৪০ কেজি। চালের প্রতিটি বস্তাতেই রয়েছে খাদ্য অধিদফতরের লোগো। চালগুলো সরকারি, তাই জব্দ করা হয়েছে।
মো. আল-আমিন জানান, এই গুদামে সরকারি চাল থাকার বিষয়টি কেউ একজন দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযান চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই তারা অভিযান চালান। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানটির মালিকের নাম ইবরাহিম শাহ চৌধুরী। তিনি দুদকের কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেছেন, চাল সরকারি হলেও তিনি কিনে নিয়েছেন। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা রেশন হিসেবে পাওয়া চাল তার কাছে বিক্রি করেছেন। তিনি এ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দুদক কর্মকর্তাদের সরবরাহ করেছেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বলছেন, চালগুলো ইনভেনটরি করা হয়েছে। অর্থাৎ জব্দ করে ইবরাহিমের গুদামেই রাখা হয়েছে। তারা ইবরাহিমের দেয়া কাগজপত্র যাচাই করছেন। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভুঁইয়া বলেন, অভিযানের বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রেশন পাওয়ার পর যদি বিক্রি করে থাকেন তবে এ ব্যাপারে তাদের কিছু করণীয় নেই। সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা