খালেদার মুক্তিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মির্জা ফখরুল

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। জনগণের অধিকার ফিরে পেতে হলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। আর গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হেবে। এজন্য দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

গতকাল রোববার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠের পূর্ব পাশে রাজশাহীতে বিভাগীয় মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার শেয়ার বাজার, ব্যাংক লুট করেছে। হাজার হাজার টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আর যারা এসব লুট করছে, তারাই এসব জায়গার উপদেষ্টা হচ্ছে। দেশেকে ভঙ্গুর করেছে এ সরকার। এটা চলতে পারে না। মানুষকে আবার তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। পদত্যাগ করুন। জনগণের কাতারে দাঁড়ান। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির এবং বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে সংসদ নির্বােেচন দাবিতে বিভাগীয় এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই গণতন্ত্রের মুক্তি উল্লেখ করে গণতন্ত্র পুনদ্ধারে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। এই যুদ্ধে সবাইকে অংশগ্রহনের আহবান জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শুদ্ধি অভিযান করে সরকারের নিজের কাপুনি উঠে গেছে। তিন টোকায়ের কাছে যদি এতো টাকা পাওয়া যায়। তাহলে পতাকা ওয়ালার কাছে কত আছে, পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছে কত আছে? এই শুদ্ধি অভিযান বন্ধ হলো কেন। শেয়ার বাজার, রির্জাভ চুরি, হলমার্ক কেলেঙ্করীর টাকা কোখায় গেল? রাতের আধারে পালানো ছাড়া আর কোন পথ নেই সরকারের কাছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রীক পথে চলে না। এখন চলছে লুটপাটের গণতন্ত্র। এই লুটপাটের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জমা করলে বিদেশের কাছে আর হাত পাততে হবে না

জণগণের মাছে রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে, তবে দেশপ্রেমে ভেদাভেদ নেই। জনগণকে ঐক্যবন্ধ হয়ে খালেদার মুক্তির আন্দোলন করতে হবে। রক্তদিলেই খালেদা মুক্তি পাবে না। কাপুরুষের মত বাঁচার দরকার নেই।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

রাজশাহীর বিভাগীয় এই সমাবেশ স্থলে যেতে বিভিন্ন জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দকে পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির নেতারা। বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে আন্তঃজেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় হয় বলে জানান তারা।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *