নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে ঐক্যফ্রন্ট

বিশেষ সংবাদ লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি ও কারচুপি’র অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী ট্রাব্যুনালে মামলা করবে। পাশাপাশি জাতীয় সংলাপ এবং পুনর্নির্বাচন দাবিতে জনমত গঠনে দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সফর করবেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠক শেষে ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বাসায় এই বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংলাপ এবং পুনর্নির্বাচন দাবিতে জনমত গঠনে দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সফর করবেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জেলা সফর করবেন। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেখানে আমাদের একজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন আদায় করব। সেই আন্দোলনের জন্য ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক নিয়মিত হবে বলেও জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইসি ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রহসনের নির্বাচন করেছে। যেই নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে, কেন্দ্র দখল হয়েছে, আগেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে একাদশ নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে সরকার। এই নির্বাচন গোটা জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা পুনর্নির্বাচন দাবি করছি।

বিকাল ৪টায় ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোড়ের বাসবভনে এ বৈঠক শুরু হয়।দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার।

প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮৮ আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৭টি আসন। নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে শপথ নেয়নি ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *