কামরুজ্জামান বাদশা: রাজশাহী সংবাদদাতা: রাজশাহীতে বহুতল ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছেনা কোন নিয়মনীতি। অন্যের জাইগা বা সরকারি রাস্তা ঘেঁষে তৈরী করা হচ্ছে ভবন। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) ইমারত বিধিমালা ( বিল্ডিং কোড ) লঙ্ঘনের মাধ্যমে গোড়ে ওঠা এসব আবাসনে নষ্ট হচ্ছে শহরের সৌন্দর্য। আবার নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণের কারণে আশপাশের ভবন হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ।
দেখাগেছে আরডিএ’র নিকট পাঁচতলা ভবনের অনুমোতি নিয়ে সাত তলা আবার সাত তলার অনুমোতি নিয়ে দশ তলা ভবন নির্মান করা হচ্ছে। ইমারত বিধিমালা উপেক্ষা করে সড়ক ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ভবন। উচ্চতা অনুযায়ী রাস্তা ও চারপাশে ফাঁকা জায়গা ছাড়ার নির্দিষ্ট বিধি থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। কেউ ক্ষমতার বলে আবার কেউ আরডিএ’র কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে গোড়ে তুলছেন নিয়ম বহির্ভূত বহুতল ভবন। এর পরেও অনেক ক্ষেত্রে নিরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায় আরডিএ কর্মকর্তাদের। একারনে রাজশাহীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে নিয়ম বহির্ভূত বহুতল ভবনের সংখ্যা।
নগরীর তেরখাদিয়া সাবেক ইমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্রের পাশে রাস্তার ধারে গোড়ে উঠছে একটি বহুতল ভবন। এই ভবনটি দুই দিকের সামান্য রাস্তা ছেড়ে তৈরী করা হচ্ছে। আবার ছাদের উপরের কার্নিস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম উপশহরের ২ ও ৩ নং সেক্টরের বেশ কিছু বিল্ডিং নামে মাত্র রাস্তা ছেড়ে অন্যের ছাদের সাথে ঘেঁষে গোড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর লক্ষীপুরে ১৩ তলার অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করছে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মাটির নিচে তিনতলাসহ ১৩ তলা ভবনটির পাইলিং কয়েক মাস আগে শেষ হয়েছে। মূল ভবনের নির্মাণের সময় পাশের চৌরঙ্গী মসজিদ ভবন হেলে পড়েছে। ভবনটি পাশের সেঞ্চুরি আবাসিক হোটেল ভবন ও দুটি ভবনের গায়ে হেলে পড়েছে। এভাবে নগরীর দড়িখরবনা, তালাইমারি সহ বিভিন্ন এলাকায় গোড়ে ওঠা ভবনের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছেনা বিল্ডিং কোড।
এ বিষয়ে আরডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল তারিক বলেন, ভবন নির্মানের অনুমোদন দেওয়ার পর বার বার তা তদারকি করা হয়। তার পরেও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়। তিনি বলেন, আশা করছি আগামীতে সকল অনিয়ম দূর হয়ে যাবে।
স্ব.বা/বা