রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলন ঘিরে চলছে নেতাদের দৌড়ঝাপ

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

কামরুজ্জামান বাদশা: আগামী ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলন। ৬ ফেব্রæয়ারি সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয় এক বর্ধিত সভা থেকে। আর এর মাধ্যমে শুরু হয়েছে সম্মেলনের কাউন ডাউন। রাজশাহী সাবেক মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবারের কাউন্সিল। গত দুই বছর পার হয়েছে চলতি কমিটির মেয়াদ। একারনে এবারের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে তৈরি হয়েছে উৎসাহ উদ্দিপনা। কাংখিত পদ পেতে নেতাদের মাঝে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ।

এদিকে সম্মেলনকে সামনে রেখে পদপ্রত্যাশী নেতারা এখন সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষাকরছেন কেন্দীয় নেতাদের সাথে। কেও কেও মাঝে মধ্যেই ঢাকায় অবস্থান করছেন কেন্দীয় নেতাদের আস্থায় পেতে। সাংগঠনিক বিভিন্ন স্থরের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন থাকছেন একমাত্র প্রার্থী। তার সাথে প্রতিদন্দীতা করবেন এমন কেও খোলাসা করছেন না। সে ক্ষেত্রে সভাপতি পদে তিনিই একমাত্র প্রার্থী বলে মনে করছেন নেতা কর্মীরা। নেতাকর্মীদের দাবী এবারো সভাপতি পদে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বিনা প্রতিদন্দীতায় নির্বাচিত হবেন।

তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে সভাপতি হতে চান এমন কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও আরডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান বজলার রহমান সহ দু’এক জনের নাম আলোচনায় আসছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত নয়। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে  ওমর ফারুক চৌধুরীর সাতে মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার প্রার্থীতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জাইনি।

সম্মেলনে আর একটি গরুত্বপূর্ন পদ সাধারন সম্পাদক। এ পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ছাড়াও বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হুদা রানা, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী, রাসিকের প্যানেল মেয়র ১ সরিফুল ইসলাম বাবু সহ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে বর্তমান সাধারন সম্পাদক ডাবলু সরকার সাংগঠনিক কাজে সার্বক্ষনিক সক্রিয় থাকায় এবং তৃনমূল নেতাকর্মীদের আপদে বিপদে তাৎক্ষনিক ছুটে যাওয়ায় দলের মধ্যে একটি ভালো অবস্থান তৈরী করে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রে আবারো তিনি সাধারন সম্পাদক হবেন এটি আশা করছেন অনেকে। আবার কেও কেও বলছেন, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী মেয়র লিটনের আস্থাভাজন হতে দির্ঘদিন চেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি দির্ঘদিন যুবলীগের সভাপতি থাকায় সাংগঠনিক দক্ষতার দিক দিয়ে ভালো করতে পারেন এমন বিবেচনায় তিনিও হতে পারেন সাধারন সম্পাদক। আবার কেও বলছেন কেন্দ্র চাইলে সরিফুল ইসলাম বাবু, মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী ও নাঈমুল হুদা রানাও হতে পারেন সাধারন সম্পাদক।

নিজের প্রার্থীতা সম্পর্কে  ডাবলু সরকার বলেন, সভাপতির সঙ্গে আমার কোনো বিভেদ নেই। তিনি আমার বড় ভাই। তার সান্নিধ্য নিয়েই রাজনীতি করেছি। দলীয় কোনো সিদ্ধান্তও আমরা কেউই একা নিই না। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনে শরিফুল ইসলাম বাবু ও নিজামুল অযীমের মত কিছু অনুপ্রবেশকারী আধিপত্ব বিস্তার করায় আমি সেখানে যাইনা কিন্তু লিটন ভায়ের সাথে আমার কোন দূরত্ব নেই। তাকে বড় ভায়ের মত শ্রদ্ধা করি। তার অনুগত হয়েই রাজনীতি করি।

সম্মেলন নিয়ে ডাবলু সরকার বলেন, এবার দলে অনুপ্রবেশকারীদের কোন স্থান নেই। ত্যাগী নেতাদের যেনো মূল্যায়ন করা হয় সে বিয়য়ে কেন্দ্র অত্যান্ত সজাগ রয়েছে। প্রকৃত আওয়ামীলীগারা এবার কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পাবে।

সম্মেলন সম্পর্কে রাজশাহী মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাসিকের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন বলেন, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভায়ের বিকল্প রাজশাহীতে নেতা তৈরী হয়নি তাই আমরা চাই লিটন ভায়ের হাত ধরে রাজশাহীতে একটি ভালো কমিটি হোক এটিই প্রত্যাশা করি।

রাজশাহী মহানগরের ১৪ নং ওয়ার্ড পশ্চিম আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার বলেন, রাজশাহীতে আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে ধরে রাখতে হলে লিটন ভায়ের হাত ধরেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই নবীন ও প্রবীণের সমন্নয়ে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ও হাইব্রিট মুক্ত কমিটি হোক।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *