বাঘায় কাজ শেষ করার পর ভেঙে গেল কার্পেটিং, পরে ঠিক করে দিল ঠিকাদার

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় দুই কিলো (কিলোমিটার) ষোল মিটার গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৮/৯ তারিখে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয় ধরে উপজেলার চন্ডিপুর-জোতরাঘব সড়কের ২ কিলো (কিলোমিটার) ১৬মিটার রাস্তার পাকাকরণের কাজ পান নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএন ট্রেডের স্বত্তাধিকারি তহিদুল ইসলাম। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ওই রাস্তার কাজটি কিনে নিয়ে ১০ দিন আগে শেষ করেন স্থানীয় ঠিকাদার আবুল বাশার। বিটুমিন কাজ শেষ করার পরপরই বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়। কাজটি শেষ করার কথা চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি।

মঙ্গলবার (১৯-০১-২০২১) দুপুরে সরেজমিন গেলে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রাস্তাটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। নিম্নমানের ইট, সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তায় পিচ–ঢালাইয়ের আগে ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয়নি। খড় ও ময়লার ওপর অল্প পরিমাণে বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। এ কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই জায়গা জায়গাই কার্পেটিং ভেঙে যাচ্ছে।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবুল বাশার দাবি করেন, রাস্তাটি নির্মাণে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। এ রাস্তা দিয়েই গ্রামের মানুষ কিংবা যানবাহনও চলাচল করবে। তাই যত দূর সম্ভব ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তার দাবি, দিনে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করার পর রাতে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল করেছে। যার কারণে কার্পেটিং ফেটে গেছে। পরে সেটি ঠিক করে দিয়েছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার একই দাবি করে বলেন, রাস্তা নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে, তা তাঁর কাছে মনে হয়নি। কাজ শেষ করার পর পরই ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে বিটুমিন ফেটে গিয়েছিল। পরে সেটি ঠিক করে দিয়েছেন ঠিকাদার।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *