ঘুষ না দেওয়ায় পিটিয়ে এক দিনমজুরের পা বেঙে দেওয়া এএসআই ক্লোজড

বিশেষ সংবাদ লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে ঘুষ না দেওয়ায় পিটিয়ে এক দিনমজুরের পা বেঙে দেওয়ার অভিযোগে দুর্গাপুর থানার এএসআই হাফিজকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার রাতেই তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদুল হাসান বলেন, এএসআই হাফিজকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য পুঠিয়া সার্কেরের সহকারি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শাহীদকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রাজশাহীর দুর্গাপুরে ঘুষ না দেওয়ায় পিটিয়ে এক দিনমজুরের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে। জেলার দুর্গাপুর থানার এএসআই হাফিজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন অনন্তকান্দি গ্রামের সাইদুল ইসলাম। তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সাইদুল সাংবাদিকদের জানান, তার পুত্রবধূ তার ছেলে আসাদুল ইসলামে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসাদুলকে আটক করেন এএসআই হাফিজ। তাকে থানায় না নিয়ে অনন্তকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে সাইদুল তার ছেলে আসাদুলকে ছাড়াতে যান ওই বিদ্যালয় মাঠে।

সাইদুল বলেন, এ সময় আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এএসআই হাফিজ। টাকা নেই বলে জানালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। আমি তাকে ৯০০ টাকা দিলে তা নিয়েও হাফিজ আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেন। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আর গভীর রাতে ছেলে আসাদুলকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আসফাক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সাইদুল ইসলামের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হাড় ভেঙে গেছে। তবে এক্স-রে না করে নিশ্চিত হওয়া যাবে না কী পরিমাণ ভেঙেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন না থাকায় বাইরে থেকে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

তবে এএসআই হাফিজ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন, আসাদুল নামে কাউকে আটক বা তার বাবার কাছে ঘুষ দাবি বা কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *