স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দু’বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ, মর্মাহত সাবিক-ভক্তরা।
তারা সাকিবের জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং আইসিসির সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা অলসতা করে সাকিব আইসিসিকে না জানিয়ে ভুল করেছে, তবে বড় কোনো অন্যায় করেনি। এজন্য লঘু শাস্তি হওয়ার কথা থাকলেও তাকে গুরুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ঢাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজ ও আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু বিষয়গুলো অবহেলা করে আইসিসিকে না জানানোয় তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়। তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা না জানানোয় তার বিরুদ্ধে এ শাস্তির ব্যবস্থা নিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে সাকিবের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি দিনভর গুঞ্জন ছিল। সাকিব ভক্তরা আশা করেছিল গুঞ্জনটি যাতে সত্য না হয়। কিন্তু সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর ভক্তরা আইসিসির প্রতি ক্ষুব্ধ এবং সাকিবের প্রতি সহানুভ‚তি প্রকাশ করে বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে সাকিব-ভক্ত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর বলেন, সাকিবের বিষয়ে অভিযোগটি বেশ আগে বিসিবি জানলেও এ বিষয়ে চুপ ছিল। বিসিবি উদ্যোগ গ্রহণ করলে বিষয়টির সুন্দর সমাধান করা সম্ভব ছিল।
তিনি বলেন, যখন ক্রিকেটাররা তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয় নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। ঠিক সেই সময় সাকিবের ওপর শাস্তির খক্ষ নেমে এসেছে। এটা বিসিবি’র খামখেয়ালিপনা বৈ অন্য কিছু না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, সকাল থেকে সাকিবের শাস্তির বিষয়টি আলোচনায় ছিল। আমি প্রত্যাশা করেছিলাম, খবরটি যেন গুজব হয়। আইসিসির ওয়েবসাইটে যখন খবর প্রকাশ করা হয়; তখন এটির জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আইসিসির এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
তিনি বলেন, আইসিসি যেই সিদ্ধান্ত দিক না কেন, সাকিব সব সময় সাকিব হয়েই থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ঘুরতে আসা মহানগরীর বনশ্রীর বাসিন্দা মিসবাহ রামিম বলেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয়টি না জানিয়ে সাকিব ভুল করেছে; এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যে সময়ে এটি প্রকাশিত হল, তা থেকে সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, এটি কোনো পক্ষ ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে।
টিএসসিতে ঘুরতে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অন্তরা সাহা বলেন, সাকিবের ব্যাপারে আইসিসির সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি খুবই ক্ষুব্ধ এবং মর্মাহত। সাকিবের মতো খেলোয়াড়দের ব্যাপারে আইসিসি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে অন্যরা ক্রিকেট খেলতে নিরুৎসাহিত হবেন।
এদিকে সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন সমর্থকরা।
মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের সমানে বিক্ষোভ করেছেন তারা। এ ছাড়া চট্টগ্রামেও বিক্ষোভ করেছেন সাকিবভক্তরা। আর সাকিবের জন্মস্থান মাগুরায় বুধবার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানবন্ধনের ডাক দেয়া হয়েছে।সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা