স্পোর্টস ডেস্ক: ইস্ট লন্ডনের ম্যাচই যেন ফিরলো ডারবানে। শেষের দৃশ্য তো হুবহু! প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শেষ ৩ বলে ২ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের, আর দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনেও একই সমীকরণ।
ইস্ট লন্ডনে পারেনি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাও পারলো না ডারবানে। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১ রানে হারের জ্বালা জুড়ালো ইংলিশরা ২ রানের জয়ে।
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আরেকবার ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে রোমাঞ্চের রেণু ছড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ উপহার দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড। শুক্রবার ‘বিগ’ স্কোরের ম্যাচে দুই দলই পেরিয়েছে ২০০ রান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করে ২০৪। সেই লক্ষ্যে প্রোটিয়ারা ৭ উইকেটে করতে পারে ২০২ রান। সফরকারীদের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরেছে ১-১ সমতা।
শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৫ রান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ঝড়ে ৪ বলেই এসে যায় ১২ রান। শেষ ২ বলে দরকার পড়ে ৩ রান। কিন্তু সেটি আর নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। টম কারেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ২ বলে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় ২ উইকেট। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডও শেষ ২ বলে হারিয়েছিল উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া রাসি ফন ডের ডুসেন শেষ ১০ বলে স্ট্রাইকেই আসতে পারেননি। ২৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় তার অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস। প্রিটোরিয়াস ১৩ বলে করেন ২৫।
কঠিন লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক। তেম্বা বাভুমাকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৯২ রান। ২২ বলে ৬৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ডি কক। ২ চারের সঙ্গে ৮ ছক্কা হাঁকিয়েছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করা কারেন ৪৫ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। তার মতো ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস জর্ডান ও মার্ক উড।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের ২০০ ছাড়ানো স্কোর গড়ার পথে সবচেয়ে বেশি অবদান মঈন আলীর। সাত নম্বরে নেমে এই ব্যাটসম্যান মাত্র ১১ বলে খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মঈন তার ইনিংসটি সাজান ৩ চার ও ৪ ছক্কায়। অবদান আছে বেন স্টোকস (৩০ বলে ৪৭*), জেসন রয় (২৯ বলে ৪০) ও জনি বেয়ারস্টোর (৩৫)।
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল বোলার লুঙ্গি এনগিদি। ডানহাতি পেসার ৪৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন আন্দিলে ফেলুকাও। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
স্ব.বা/শা