করোনা: রক্ষা পেতে নামাজ পড়তে বললেন মিরাজ-মোস্তাফিজ

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক:

মারণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিত হয়ে গেছে। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের ক্রীড়া আসরও। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনা। চীন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সসহ বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশের সীমানা পেরিয়ে তা আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। স্বভাবতই আতঙ্কিত দেশের মানুষ।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে সর্তকভাবে চলছেন ক্রিকেটাররা। সেই সঙ্গে দেশের মানুষদের সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মিরাজ-মোস্তাফিজ। এ মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে সর্বশক্তিমান আল্লাহতাআলার কাছে প্রার্থনা করেছেন তারা।

করোনা আগ্রাসনে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে দুর্যোগ। সবার মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক আর ভয়। বুধবার মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রবেশে সর্বোচ্চ সর্তকতা দৃষ্টি কাড়ে।

অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে এদিন মিরপুর স্টেডিয়ামে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সাংবাদিক, ক্রিকেটার, বোর্ড কর্তাদের পদাচরণায় মুখরিত থাকা বিসিবিতে ভর করে রাজ্যের নীরবতা। ক্রীড়া বিশ্বে করোনার হিংস্র থাবা এতটা পড়বে ভাবতে পারেননি ক্রিকেটাররা। রীতিমতো বিস্মিত, আশ্চর্য তারা।

মিরাজ বলেন, এতদিন টুকটাক কাজে বাসার বাইরে গিয়েছি। মাঠে গিয়েছি। তবে মাস্ক ব্যবহার করেছি। করোনার জন্য আর বাইরে বের হবো না। গৃহবন্দি বলতে পারেন।িএ ভাইরাস নিয়ে আমি আতঙ্কিত নই। সত্যি বলতে কি, সেরকম ভয় কাজ করছে না।

তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে করোনা নিয়ে কথা হয়। সবাই দোয়া করছি। আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত করেন। সবাই নিরাপদ থাকেন। নিয়মিত হাত ধুতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। যেন তিনি আমাদের সবাইকে এরকম মহামারীর হাত থেকে হেফাজত করেন।

মোস্তাফিজ বলেন, আমি ঢাকাতে আছি। এমনিতে মাঠে যাচ্ছি। তবে কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হই না। যারা বের হচ্ছেন, তাদের হয়তো সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি, প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়াটাই ভালো। কম বের হই। তাই আমার হয়তো সেভাবে সমস্যা হচ্ছে না। যারা কমবেশি ঘুরতে যেত, করোনাভাইরাসের কারণে তারাও দেখছি এখন ঘরে। সেভাবে বাসা থেকে বের হচ্ছে না কেউ।

কাটার মাস্টার বলেন, আতঙ্কিত বলতে শুধু আমি না, সবাই! একজনের হলে আরো অনেকের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়, সবার সেই চেষ্টা করতে হবে। যে নিয়মগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলো মেনে চলা উচিত। আমি বলব, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াটা খুব জরুরি।

তিনি বলেন, করোনা নিয়ে বউয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে নিয়মিত। সে অনেক সাহসী। ভার্সিটি বন্ধ, বাসায় আছে। বাইরে যেতে দিচ্ছি না। মঙ্গলবার ঘুরতে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু বের হইনি।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *