ইউরোপার সেমিফাইনালে নাম লেখাল ইন্টার-ম্যানইউ

খেলাধুলা লীড

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১০ সালের পর এই প্রথম ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে পৌছালো ইন্টার মিলান। রুমেলো লুকাকুর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার লেভারকুসেনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে নারাজ্জুরিরা।

এদিকে একই রাতে অতিরিক্ত সময়ের গোলে কোপেনহেগেনকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় করে দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

সোমবার রাতে মাঠে নেমে ইউরোপার সেমিফাইনালে নাম লেখায় ইন্টার ও ম্যানইউ।

সর্বশেষ ২০১০ সালে সাবেক কোচ হোসে মরিনহোর সেসময়ের শিষ্য দিয়েগো মিলিতাওয়ের গোলে সেমির মুখ দেখেছিল ইন্টার। শুধু কি তাই, সেবার স্বঘোষিত স্পেশাল ওয়ানের অধীনে ট্রেবল জয়ের কৃতিত্ব গড়েছিল ইতালিয়ান জায়ান্টরা।

আর এবার অ্যান্তোনিও কন্তের আছে নিজস্ব গোলস্কোরার, লুকাকু। এই বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড ইউরোপা লিগ অথবা উয়েফা কাপের টানা ৯ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়লেন।

ইন্টারের প্রথম গোলটি আসে নিকোলা বারেল্লার পা থেকে। এরপর ২১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুকাকু। তবে এর ঠিক তিন মিনিট পরেই কেভিন ভোল্যান্ডের বানিয়ে দেওয়া বলে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন লেভারকুসেনের কাই হাভেরৎজ।

এদিকে কোপেনহেগেন ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যানইউকে ১-০ ব্যবধানে জয় পাইয়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। গত শীতকালীন দলবদলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পা রাখার পর ম্যানইউর জার্সিতে এই নিয়ে ১১ গোল করলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

ম্যাচের অধিকাংশ সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হতাশ করেছে কোপেনহেগেন। বিশেষ করে দলটির গোলরক্ষক কার্ল-হুয়ান জনসন বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করেছেন। এছাড়া ওলে গানার সোলসারের শিষ্যদের দুই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে এবং ম্যাসন গ্রিনওডের এক গোল বাতিল করা হয়।

৯০ মিনিট খেলা শেষে ০-০ স্কোরলাইন থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে ফাউলের শিকার হন অ্যান্থনি মার্শাল এবং তা থেকে গোল করে ইউনাইটেডকে সেমিফাইনালে নিয়ে যান ফার্নান্দেজ। সূত্র: বিডি-প্রতিদিন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *