টানা ষষ্ঠ হারেও সম্ভাবনা থাকছে রাজশাহীর

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক : চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সপ্তম জয় দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। নিজেদের শেষ ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে ৩৬ রানে হারিয়েছে দলটি। এ নিয়ে গ্রুপ পর্বের ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে মিঠুনের দল।

অন্যদিকে, প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হতো রাজশাহীকে। তবে চট্টগ্রামের কাছে হারলেও প্লে-অফে যাওয়ার দৌড় থেকে এখনও ছিটকে যায়নি শান্তবাহিনী। যদিও সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আছে দলটি। কেননা, সন্ধ্যার ম্যাচে বরিশাল যদি ঢাকার কাছে হেরে যায় তাহলেই কেবল প্লে-অফে যেতে পারবে পদ্মাপাড়ের দলটি। অন্যথায় জিতলে বরিশালই চলে যাবে চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকার সঙ্গে।

এদিকে, আজ শনিবার মিরপুরে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রাজশাহী। দলীয় ১০ রানে নাহিদুল ইসলামের বলে ‘ডাউন দ্য উইকেটে’ মারতে এসে স্ট্যাম্পিং হন পুরো টুর্নামেন্টে রাজশাহীর হয়ে দুর্দান্ত খেলা আনিসুল ইসলাম ইমন। এই ম্যাচে রান পাননি আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ১১ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হন তিনি। দলীয় অধিনায়কের বিদায়ের পর মাত্র ১০ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন রনি তালুকদার (১৬)।

চট্টগ্রামকে তৃতীয় উইকেটও এনে দেন সেই নাহিদুল। ৩৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী। দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান- ফজলে মাহমুদ এবং নুরুল হাসানকে চেপে ধরে চট্টগ্রামের বোলাররা। সেই সাথে কমে রাজশাহীর রান তোলার গতিও।

নুরুল-ফজলের ৩৬ রানের জুটি ভাঙেন রাকিবুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলেও উইকেটকিপার লিটনের পরামর্শে রিভিউ নেন মিঠুন। ফলে ২০ বলে ১৯ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় ফজলে রাব্বিকে। এরপর তিন ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান করে দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান মেহেদী হাসান। তার পরেই ফেরেন সাইফউদ্দিনও (৯)।

তার বিদায়ের পর রাজশাহীর পরাজয় ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান জড়ো করে শান্তর দল। ৩টি উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন নাহিদুল ইসলাম।

এর আগে লিটন-সৌম্যের জোড়া ফিফটিতে এবং শামসুর রহমান শুভর ঝড়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম। লিটন দাস ৪৩ বলে ৫৫ এবং সৌম্য সরকার ৪৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। আর শামসুর রহমান ১৮ বলে তিন ছয় আর একটি চারে অপরাজিত থাকেন ৩০ রান করে। রাজশাহীর আনিসুল ইসলাম ইমন নেন দুটি উইকেট।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *