স্বদেশবাণী ডেস্ক: গত মৌসুমটা শিরোপাহীন কাটিয়েছে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা। আর নতুন মৌসুমের শুরুতেই স্প্যানিশ সুপার কাপের ট্রফিটা একেবারে জানালায় উঁকি দিচ্ছিল।
ইনজুরি কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট না হয়েও নেমে পড়লেন ফাইনালে। তবু শিরোপা অধরাই রয়ে গেল তার। দুহাত ভরে ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ হলো না আর।
শিরোপা তো পাওয়াই হলো না; উল্টো এমন কাণ্ডই ঘটল, যা মেসির ১৭ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে কখনই ঘটেনি।
লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। ক্লাব ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হলো আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে।
ঘটনাটি ঘটল ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে, একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে, যা কল্পনাই করেননি বার্সা সমর্থকরা।
রোববার রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয় অ্যাথলেটিকো বিলবাও।
ম্যাচে গ্রিজম্যান জোড়া গোল দিলেও লাভ হয়নি বার্সার। দুবার পিছিয়ে থেকেও সমতায় ফেরে বিলবাও। যে কারণে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
আর এই যোগ করা সময়ের ৪র্থ মিনিটে বাজিমাত করেন বিলবাওয়ের ইনাকি উইলিয়ামস। ৩-২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা।
এমন পরিস্থিতিতে হার এড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেন বার্সা অধিনায়ক।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার একটু আগে মেজাজ হারান মেসি। বিলবাওয়ের ফুটবলার ভিয়ালারবিয়া একবার ধাক্কা দেন মেসিকে। এর পর দৌড়াতে গেলে আবারও একই কাজটি করেন ভিয়ালারবিয়া। দ্বিতীয়বার ধাক্কা খেয়ে আর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি মেসি।
নিজেকে সামলাতে না পেরে ভিয়ালারবিয়াকে কষে থাপ্পড় মারেন মেসি।
শুরুতে রেফারি বিষয়টি খেয়াল করেননি। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি-ভিএআরের সাহায্য নিয়ে মেসিকে লালকার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি।
ফলে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সা অধিনায়ককে।
১৭ বছরের বার্সা ক্যারিয়ারে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে ৭৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু রোববার রাতেই প্রথম লালকার্ড দেখলেন তিনি।
শুধু লালকার্ডই নয়; ৩-২ ব্যবধানে হেরে শিরোপাও পাওয়া হয়নি মেসি ও তার দলের। সব মিলিয়ে রোববারের রাতটা রোনাল্ড কোম্যান, মেসি ও বার্সেলোনার জন্য কালরাত হয়ে রইল।