স্বদেশবাণী ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে ক্রীড়াঙ্গনে ছিল নানা আয়োজন। বিশেষ করে ফুটবল ক্লাবগুলোর আয়োজনটা জমকালো করার কথা ছিল। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয়োজন হতে পারত ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে।
কারণ, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে ৯ অথবা ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন বঙ্গবন্ধু। ছিলেন স্ট্রাইকার। ছিলেন দলের অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে বগুড়া টুর্নামেন্টে ওয়ান্ডারার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফাইনালে ওয়ান্ডারার্সের পাঁচ গোলের মধ্যে দুটি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আর সেই ক্লাবটির বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর আয়োজন ছিল সাদামাটা। ক্লাবের গেটে তালা লাগানো থাকায় রাস্তায় টেবিল বিছিয়ে কেক কাটতে হয়েছে তাদের।
ক্যাসিনোকাণ্ডের পর থেকেই তালাবদ্ধ ক্লাবটি। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্লাবে ঢুকতে পারছে না কেউ। খেলোয়াড়রা এই একবছর পাশের আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে ও বাসায় থেকে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে ক্লাবের বন্ধ গেটেই একটি ব্যানার ঝুলিয়েছে ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকরা।
সন্ধ্যায় ক্লাবের সামনের রাস্তায় কেক কেটে জাতির পিতা ও তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সাবেক ফুটবলারের জন্মদিন উদযাপন করেছে।
রাস্তায় কেক কাটার সময় ক্লাবের কয়েকজন খেলোয়াড়, সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ শঙ্কর ও ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মো. তারেক আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এমন অনাড়ম্বর ও রাস্তায় জন্মদিন পালনের বিষয়ে ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মো. তারেক আলম বলেছেন, ‘জাতির পিতার জন্মদিনে কেক কাটতে আমরা সব খেলোয়াড় আনতে পারিনি। আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে যারা থাকে তারা এবং কাছে অবস্থান করা কয়েকজন এসেছিল কেক কাটার সময়।’
উল্লেখ্য, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ফুটবল দল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে অংশ নিয়েছে। ক্যাসিনোকাণ্ডে থাকায় ক্লাব বন্ধ থাকায় এ সময়টিকে ১১ জন ফুটবলারকে পাশের আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে থেকেছেন। একটি হোটেলে আছেন ৫ জন। বাকি ১৩ জন নিজ বাসায় থাকছেন। কোচ ডাকলে তারা অনুশীলন আর ম্যাচ খেলতে আসেন।