স্বদেশবাণী ডেস্ক: এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জির আয়োজনে ফেসবুকে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে গত শনিবার সাকিব বিসিবির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তোলেন। কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিসিবি পরিচালক ও দেশের সাবেক দুই অধিনায়ক আকরাম খান ও নাঈমুর রহমানকে।
এরপরই তুমুল সোরগোল বেঁধে যায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। শনিবার রাতেই সাকিব ইস্যুতে নিজ বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডাকেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বৈঠক শেষে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আকরাম খান গণমাধ্যমকে জানান, সাকিবের আইপিএল খেলার এনওসি (অনাপত্তি পত্র) পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এমন পরিস্থিতিতে সাকিবের আইপিএলে অংশ নেওয়ায় পড়ে যায় অনিশ্চয়তায়। এরইমধ্যে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে গভীর রাতে দেশে ফেরেন সাকিব। যা এই উত্তেজক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। অনেকে ধারণা করেন, রেষারেষি মেটাতে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দেখা করবেন সাকিব।
কিন্তু না, রীতিমতো আইপিএলের প্রস্তুতিতে মাঠে গা গরম করতে নেমে পড়েন সাকিব। দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকেই গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যাচ্ছেন সাকিব। আজ জন্মদিনেও অনুশীলনেই মনযোগী ছিলেন। উচ্ছ্বসিত দেখা যায়নি তাকে। জন্মদিনের শুভেচ্ছার জবাবটাও গণমাধ্যমকর্মীদের ভালোভাবে দেননি তিনি।
সব মিলিয়ে সাকিবের ভবিষ্যৎ প্রশ্নে কি হতে যাচ্ছে তা ঠিক ঠাহর করতে পারছেন না সংবাদকর্মীরা। সাকিব প্রশ্নে বিসিবি কোন সিদ্ধান্তে যাবে আর সাকিব নিজেই বিষয়টি নিয়ে কতটুকু চিন্তিত তার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।
এমন সব রহস্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন। বুধবার বেলা ১টার দিকে সাকিবকে অনেকটা গোমড়া মুখে শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ত্যাগ করতে দেখেছেন সাংবাদিকরা। এরপরই শুরু হয় নানা সন্দেহ নানা প্রশ্ন।
সাংবাদিকদের ধারণা, অনুশীলন শেষে সাকিব অনেকক্ষণ কথা বলেছেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের সঙ্গে। প্রায় ঘণ্টা খানেক সিইওর রুমে বসেছিলেন সাকিব। দুজনার মধ্যে কি কথা হয়েছে ? যেজন্য গোমড়া মুখে বেরিয়ে গেলেন সাকিব।
সাকিব কথাবার্তা শেষে তড়িঘড়ি করেই বেরিয়ে গেছেন। আর বিসিবি সিইও এ বিষয়ে কিছুই জানাননি গণমাধ্যমকে।
এখন প্রশ্ন একটাই , বিসিবি সিইও‘র সঙ্গে কি কথা হয়েছে সাকিবের যে অমন মনমরা মুখে বেরিয়ে গেলেন?