‘আমি সব ফরম্যাটে খেলতে চাই, ভাই…সব ফরম্যাট’

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: মোস্তাফিজুর রহমানের মত টেস্ট নয়, অন্য ফরম্যাট খেলবো- এমন কোনো কথা আগেও বলেননি, এখনও বলছেন না তাসকিন আহমেদ। বরং, নিজেকে সব ফরম্যাটের জন্যই প্রস্তুত রাখেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডের পর টেস্টেও খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে টেস্ট খেলতে পারেননি।

দীর্ঘদিন ইনজুরিতে ভোগার পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে ২৪ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন তাসকিনসহ আরও বেশ কিছু ক্রিকেটার।তার আগে আজ বুধবার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন জানালেন, তিনি সব ফরম্যাটই খেলতে চান।

এখনই ফরম্যাট বাছাই করার কোনো ব্যাপার আছে কি না তাসকিনের মধ্যে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সব ফরম্যাট খেলতে চাই, ভাই…সব ফরম্যাট। যদি কখনও দেখি পারছি না, তখন বলব। কিন্তু এখন আসলে মনে হয় না।’এখনই সব ফরম্যাটে খেলার সঠিক সময় বলে মনে করেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘এখন আসলে ফিট হয়ে ভালোমত খেলার রাইট টাইম। আমার স্বপ্ন আসলে ওয়ার্ল্ডক্লাস হতে চাই। এখনও আসলে ওই সময় আসে নাই যে আই নিড রেস্ট। যদি কখনও মনে হয় না ম্যানেজ করতে পারছি না, তখন কিন্তু (বলে দেবো)। এখনও ওই সময় হয়নি৷’

তবুও নিজের পছন্দের ফরম্যাট কোনটি? ওয়ানডে না টি-টোয়েন্টি? জবাবে তাসকিন বলেন, ‘আসলে সব ফরম্যাটই আমাদের পছন্দের। কিছু ফরম্যাটে ভালো হয়, কিছু ফরম্যাটে খারাপ হয়। সাদা বলে ভালো সাইড আমরা। আমাদের অ্যাবিলিটি আছে ভালো করার। তবুও ক্রিকেট খেলা, কোনকিছুই সহজ হবে না ওদের কন্ডিশনে। ভালো করতে হলে আমাদের বেস্ট ক্রিকেটটাই খেলতে হবে এবং আল্লাহ যদি চায় আমাদের সেই অ্যাবিলিটিও আছে। এখন দেখি কি হয়।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর কতটা কঠিন হবে? তাসকিন বলেন, ‘আসলে প্রত্যেকটা সিরিজই টাফ। ইনজুরড থাকি আর না থাকি। এটাও চ্যালেঞ্জ। চ্যালঞ্জ নিতেই হবে। ওইভাবেই আগাবো। দোয়া করবেন, যাতে আল্লাহ সুস্থ রাখে। নিজের সামথ্যের পুরোটা যেন দিতে পারি। এরপর ইনজুরি হলেও নিজেকে বোঝানো যায় আমি নিজের পুরোটা দিসি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলবে হবে ডিউক বলে। যেটা বাংলাদেশের বোলারদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জই বটে। যদিও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি হবে কোকাবুরা বলে। এ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচ তো ডিউক বলে খেলা হচ্ছে, আমার ইচ্ছা ছিল; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত খেলা হলো না। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি কোকাবুরা বলেই হবে, তো যেটাতেই হোক নিজের সেরাটা দিব। হাতে যেটা আছে প্রসেস, সেটাই ফলো করব। দিনশেষে বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’

তাসকিন আগেও নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছেন। এবারও করবেন। সে প্রতিশ্রুতিই দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাইব সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে যেন জয় উপহার দিতে পারি। সবসময় এটাই ইচ্ছা থাকে। শতভাগ দিব বাকিটা আল্লার ইচ্ছা।’

নিজের ইনজুরি নিয়ে বলেন, ‘আসলেই ইনজুরি ফাস্ট বোলারদের টুকটাক হয়। হলে আবার কামব্যাক করতে হবে এটাই চ্যালেঞ্জ এবং এটাতে মজাও আছে। তো এখন যেটা আছে হাতে সেটাতেই ফোকাস করতে চাচ্ছি। নিজের রিহ্যাব প্রোগ্রাম, মেইনটেন্যান্স…। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ যদি চান প্রায় আড়াই মাস পর দলের সাথে যুক্ত হতে পারলে এটা সবচেয়ে বেশি আনন্দের হবে। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য এটাই সবচেয়ে শান্তির বিষয় দলের সঙ্গে থাকা।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশন তো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য একটু কঠিনই। টেস্ট খেলতে যাওয়া সতীর্থদের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না এ নিয়ে? তাসকিন বলেন, ‘আসলে ওরা ম্যাচের মধ্যে ছিল। তাই মাঝে কথা হয়নি। এখন হয়তো গিয়ে কথা হবে। এক্সপার্টরা আছে, কোচরা আছে তারা হেল্প করবে। ভিডিও অ্যানালিস্ট আছেন, একেক গ্রাউন্ডে একেক স্ট্যাটাস থাকে। সে অনুযায়ী ট্রাই করব। তবে আসলে অত কিছু চিন্তা করছি না। আগে যাই দেখি কি হয়। সবাই এটাই দোয়া করবেন, আমি যেন সুস্থ থাকি।’

স্ব.বা/ রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *