দুর্বল নেতৃত্ব বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে

রাজনীতি

স্বদেশবাণী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দিন দিন দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।

আজ রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছে, যা প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে। নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই তাদের দিন দিন ভোটের রাজনীতি থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে।’

পৌরসভা নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছে, ভবিষ্যতে দলের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদেরকে বিবেচনায় আনা হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা জয়ী হোক কিংবা পরাজয়ী হোক- পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না, এটাই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।

শনিবার দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পৌরসভায় নির্বাচনে দলের বিজয়ী সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা এবং সমৃদ্ধির বিজয়। এ বিজয়কে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিজয় বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসেবে বলা হয়েছে শনিবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও ছিলো আশাব্যঞ্জক। সূত্র মতে ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৬০ থেকে ৭০ ভাগ। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার উপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলেছেন ভোটকেন্দ্র নাকি সরকারি দলের দখলে ছিলো, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, তাহলে আপনাদের ৪ জন প্রার্থী কিভাবে বিজয়ী হলেন? বিএনপি নেতারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদযাপন করে। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝদুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে।

ইভিএমে ভোট প্রদানে জনগণের আগ্রহ এখন অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে ছিলো না কোন জড়তা।

সিরাজগঞ্জের ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছেন। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করারও নির্দেশ দেন তিনি। (বাসস)

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *