তানোরে কীটনাশক দিয়ে কৃষকের জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে   কীটনাশক প্রয়োগ করে মাসুদ রানা নামের কৃষকের তিন বিঘা  পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা বলে অভিযোগ উঠেছে। গত অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে  উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির মালশিরা মাঠে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় কৃষক মাসুদ রানা বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ার কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি থানা পুলিশ। ফলে পাকা অবস্থায় ধানগুলো কালচে চিটা হয়ে জমিতেই রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির মালশিরা গ্রামের বা তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার পশ্চিমে তিন বিঘা জমির ধান পাকা অবস্থায় জমিতে খাড়া হয়ে আছে। মাঠে কোন জমিতে ধান নেই। ওই জমির চারদিকে আলু রোপনের কাজ চলছে পুরোদমে। জমিতে ধান খাড়া অবস্থায় থাকলেও কাটচে রং ও চিটা হয়ে পড়েছে পুরো জমির ধান গুলো। ওই জমির চারদিকে আলু রোপনের কাজ চলছে পুরোদমে।
শ্রমিকরা বলেন, আমরা বাহির থেকে এসেছে আলু রোপনের জন্য। কিন্তু জমিতে ধান দেখে হতবাক হয়ে পড়েছি। কারন কোন জমিতে ধান নেই। অথচ এজমিতে ধান কাটা হয়নি। ধানের জমিতে দেখি শীষগুলো চিটা হয়ে গেছে। আর পাতার রং কালচে হয়ে আছে। পরে জানতে পারি ধান গাছের শীষ বের হবার সময় ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। মানুষের সাথে মানুষের বিভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু ধান নষ্ট করবে এটা কোন ধরনের কথা। যারা অমানুষ তারাই এসব করতে পারে। কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এধরণের কাজ করা অসম্ভব।
ধান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় কৃষক মাসুদ রানা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু অভিযোগে কোন নাম উল্লেখ করেন নি।
জানা গেছে, ধান নষ্ট করার পর গত নভেম্বর মাসের ৭  তারিখে কৃষক মাসুদ রানা বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারা জারির জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে  আবেদন করেন। যার মামলা নম্বর বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, রাজশাহী মামলা নম্বর ১২২০ পি/২৪(তানোর) ধারা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ তারিখ ৭/১১/২০২৪ ইং ২১৭২(২) । বিবাদী করা হয় ৬ জনকে। বিবাদীরা হলেন, কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির বিহারৈল গ্রামের আনিসুল রহমান, আতাউর রহমান, জিয়ারুল, জামিরুল ও কামরুলকে।
আগামী জানুয়ারী মাসের ২৩ তারিখে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
কৃষক মাসুদ রানা বলেন, তিন বিঘা জমির ধান কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করা হল। কাউকে দেখিনি এজন্য কোন নাম উল্লেখ করিনি। তবে প্রতিপক্ষরা ছাড়া একাজ কেউ করবে না। এতে করে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। জমির চারদিকে সবাই আলু রোপন করতে ব্যস্ত। আর আমার জমি পড়ে রয়েছে। প্রতিপক্ষদের ভয়ে ধানও কাটতে পারিনি। কেউ টেন্ডারও নিবে না। নিজে চাষ করব সেটাই করতে দিচ্ছে না। চাষাবাদ আমাদের মুল ভরসা।
তবে প্রতিপক্ষরা বলছেন, মামলাধীন জমি তারা নিজেরাই এসব করে ফাঁসাতে মরিয়া। তানোর থানার এসআই আব্দুর রশিদ জানান, আনিসুর সহ বিবাদীদের জমিতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। নামলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *