স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ভান্ডার রক্ষক জীবন। তার বিরুদ্ধে বরেন্দ্র অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদেরকেও ছাত্রদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে মাঠে নামাতে ব্যাপক প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর পরেও বরেন্দ্র অফিসে বহাল তবিয়তে রয়েছে শ্রমিক লীগের এই নেতা। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কর্মচারীদের অনেকেই।
অভিযোগ রয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারী ইউনিয়নের অসাধারণ সম্পাদক জীবন গত ৪ আগস্ট সরাসরি ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে মিছিলে অংশ নেন। সেই সময় প্রতিদিনই তিনি আন্দোলন বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন। একাধিক মিছিলে তাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। আন্দোলন দমাতে প্রথম সারিতে থাকতে দেখা গেছে শ্রমিক লীগের এই নেতাকে। তিনি নিজে ছাত্রদের দমনে মাঠে থেকেছেন এবং কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা হওয়ার ক্ষমতাবলে অন্যদের ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে মাঠে নামাতে প্ররোচনা দিয়েছেন বলে বেশ কয়েকজন কর্মচারী অভিযোগ করেছেন।
জীবনের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের সময় শ্রমিক লীগ নেতা এই ক্ষমতাবলে পুরো অফিসে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিলেন। বরেন্দ্রর একজন ভান্ডারকর হলেও টেন্ডার, কেনাকাটা সহ বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রভাববিস্তার সর্বক্ষেত্রে। এটা সেই অফিসের অনেকে ভালোভাবে না নিলেও তার বিরুদ্ধে কেও কথা বলতে সাহস পেতেননা বলে জানান বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
শ্রমিক লীগ নেতা জীবন আওয়ামীলীগ সরকারের সময় এতটাই ক্ষমতাসীন ও বেপরোয়া ছিলেন, সাংবাদিকরাও পেশাগত দায়িত্ব পালনে বরেন্দ্র অফিসে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । গত ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এটিএন নিউজের রিপোর্টার বুলবুল হাবিব পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বরেন্দ্র অফিসে গেলে লাইভ চলাকালীন সাংবাদিকের উপর হামলা ও তাদের ক্যামেরা ভাংচুর চালান জীবন ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে তিনি সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাবে ছাড়া পেয়ে যান। এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বরেন্দ্র অফিসের গুদাম রক্ষক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে স্বদেশ বাণী’কে বলেন, আমার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সঠিক নয়। আমি ছাত্র আন্দোলন বিরোধী কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিই নি। আর কাউকে আন্দোলনের বিরুদ্ধে নামাতে প্ররোচনাও দিইনি।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম স্বদেশ বাণী’কে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মাঠে নামার অভিযোগ রয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কোনো অভিযোগ পেলে আমার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
স্ব.বা/বা