চিকিৎসক সংকটে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেবা ব্যাহত 

রাজশাহী
মোঃ রওশন আলম (মান্দা) নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা বাহ্যত হচ্ছে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এখানে মোট পদ সংখ্যা ৩৬টি থাকলেও কর্মদক্ষ রয়েছেন ১৪ জন পদ শূন্য রয়েছেন ২২টি।
১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মান্দা উপজেলা এখানকার মোট জনসংখ্যা ৪,০০৭৮৬ জন প্রায়। তার মধ্যে পুরুষ ২,০৪৪০১ জন ও নারী ১,৯৬৩৮৫ জন প্রায়।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় হাসপাতালের বহির্ভাগ বিভাগ ও জরুরী বিভাগে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। চিকিৎসকের চেম্বার ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলোতে রোগীর ভিড় বেড়েই চলেছে। রোগীদের বেশিরভাগই শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, চর্মরোগ ডায়রিয়া,সর্দি-জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসছে তার সাথে রয়েছে গাইনি রোগী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন চিকিৎসক।
কাগজ কলমে ১৪ জন চিকিৎসক থাকলেও প্রকৃত কর্মে রয়েছেন ১০জন চিকিৎসক। বাকি ৪ জনের মধ্যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে রয়েছেন ২ জন, ডেপুটেশনে পত্নীতলা উপজেলায় রয়েছেন ১ জন ও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন ১ জন চিকিৎসক।
 হাসপাতাল পরিসংখ্যান মতে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে হাসপাতালের সেবা নিতে আসা রোগীর পরিমাণ ১,১০,০০০জন প্রায়। জরুরী বিভাগের সেবা নিয়েছেন,৬৯০০জন, হাসপাতালে বিভিন্ন রোগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯,৭২০ জন প্রায়, হাসপাতালে গর্ভকালীন সিজারিয়ান অপারেশন করেছেন ১২ জন।
চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে সেবা বঞ্চিত রোগী ছুটছেন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। আবার অনেকে যাচ্ছেন জেলা ও রাজশাহী বিভাগীয় হাসপাতালে এতে করে রোগীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে তেমনি অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে।
 হাসপাতালে সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও স্বজনরা জানান হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাছাড়া হাসপাতালে দীর্ঘদিন অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার মেশিনপত্র ব্যবহার না করার কারণে অকেজ হয়ে পড়ছে। এমনকি গত ২ বছর যাবত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালে ব্যবহৃত জেনারেটর বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্স, জেনারেটর এমনকি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ব্যবহারের জন্য তেলের বরাদ্দ নেই। রোগী স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস নিতে হয় রোগীর স্বজনদের এতে যেমন কষ্ট হয় রোগীর তেমনি স্বজনরা পড়ে ভোগান্তিতে গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া।
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগী এবং স্বজনদের দাবি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ অন্যান্য সকল সুবিধার্থে  চিকিৎসার মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিবে কর্তৃপক্ষ এটাই প্রত্যাশা উপজেলা বাসির।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি অল্প কয়েকদিন আগে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছি, সহকর্মীদের কাছ থেকে আমি সকল বিষয়ে অবগত হয়েছি, আমি চেষ্টা করব আগামী দিনে জেলা সিভিল সার্জনকে সকল বিষয় জানিয়ে আগামীতে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *