অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহীতে কাটিয়েছেন ১৬ বছর, আত্মীয়-স্বজনদেরই শুধু চেনেন গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম। নিজের সম্বন্ধী রফিক ভাগ্নি জামাই ফয়সাল কোভিদ ও ইয়াসিন আরাফাতকে নিয়ে একটি বলয় তৈরি করেছেন তিনি।
ফয়সাল কবীর ডাবলু সরকারের সহযোগী ছিল ফেসবুকে বিভিন্ন প্রোগ্রামে ডাবলু সরকারের সাথে তার দেখা পাওয়ার তথ্য প্রমাণ রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে। ৫ ই আগস্ট এর পরেও আত্মগোপনে ছিল এই ঠিকাদার ফয়সাল কোভিদ। নির্বাহী প্রকৌশলী রুমে ফয়সাল কবি রফিক ও ইয়াসিন আরাফাত থাকে সবসময় অন্য কোন ঠিকাদারকে ঢুকতে দেন না। জামানত নিতে গেলেও ঠিকাদারদেরকে ঘুরতে অনেকদিন।
নাম প্রকাশে অনেক একটি কাদার জানান বার্ষিক বরাদ্দের ১০ কোটি টাকা ও দরপত্রের তথ্য ফাঁস করে নিজের আত্মীয় স্বজনদেরকে কাজ করে দিচ্ছেন এই অভিযুক্ত প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম। চাকরী জীবনের ১৬ বছরেই তিনি কাটিয়েছেন রাজশাহীতে। আওয়ামী লীগের দাপটে তিনি মহন্ত বিরত ছিলেন। সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে আবারো পদোন্নতি নিয়ে রাজশাহীতে প্রবেশ করেছেন মাত্র কয়েক মাস। তিনি ভোলাতে ছিলেন ভোলায় থাকার কারণে রাজশাহীর ঠিকাদারা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল কিন্তু আবার হঠাৎ করে তার সাথে ঠিকাদারের জন্য মরণ ফাঁস হয়েছে।
শুধু তাই নয় নানাবিদ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। শ্রম কল্যাণ ভবনের নবনির্মিত ভবন ও আরো কয়েকটি প্রজেক্টে ঠিকাদারের কাছে তিনি কিছু সুবিধা নিতেন এমনটি অভিযোগ উঠেছে। তিনি রাত দশটা পর্যন্ত অফিস করেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে হইহুল্লোরে মেতে উঠেন অফিসে যা সরকারি বিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে।
তিনি চাকরিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করে পরবর্তীতে এইচডি হিসেবে রাজশাহীতে থাকেন আবার তিনি পদোন্নতি নিয়ে বদলি হয়ে চলে যান এবং মাত্র কয়েক মাস পর চলে আসেন। কিছুদিন পূর্বেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন হলেও গণপূর্তির এসি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেননি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না না হতেই তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন সাংবাদিকের সাথেও তিনি অসাধআচরণ করেন।
তিনি সাংবাদিকের নিয়ে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তার রাজশাহীতে বাড়ি রয়েছে তেরখাদিয়ায় এবং নিজেও ডেভলপারের ব্যবসার সাথে জড়িত। এক ঠিকাদারকে তিনি অফার করেন আমার দুইটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেন তাহলে আমি আপনাকে একটি কাজ দিব এবং পরে সেই ঠিকাদার ফ্ল্যাট বিক্রি না করার কারণে তিনি ঠিকাদারকে কাজ দেননি এমনটি অভিযোগ করেন ঠিকাদার।
তার সাথে অমিল হলে তিনি ঠিকাদার কে বিল দেন না বলে অভিযোগ ঠিকাদারদের। বর্তমান সময়ের ঠিকাদাররা বিল না পেয়ে নানাবিধ সমস্যায় রয়েছেন তারপরও তিনি ঠিকাদারকে বিল দিতে চান না।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তার পিতা নোয়াখালীর বাসিন্দা পিতা চাকরির সূত্রে তিনি রাজনীতি থাকতেন এরপরে তিনি রাজশাহীতে পড়াশোনা করেছেন এবং বিয়ে করেছেন রাজশাহীতে। কিন্তু তার পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো না হলেও চাকরির সুবাদে তিনি বাড়ি ও কয়েকটি ফ্ল্যাট করেছেন, ইতিমধ্যে তার অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয় আজকের পত্রিকা সহ ঢাকার কয়েকটি পত্রিকায় ও অনলাইনে।