বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক গৃহবধু। স্বামী শশুর-শাশুড়ি ও ননদীর নির্যাতনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গৃহবধু সঞ্চীতা বেগম (২১) এর পিতা শরীফুল ইসলাম বাঘা থানায় লিখিত এ অভিযোগ করেছেন।
সুত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের শরীফুল হকের ছেলে সোহান আদিপ (২৬) এর সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার চক নারায়নপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে সঞ্চীতার। বিয়ের পরে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে স্বামীসহ তার পিতা-মাতা ও বোন। এই টাকার জন্য মাঝে মধ্যেই নির্যাতনের শিকার হতো সঞ্চীতা। যার ধারাবাহিকতায় অন্তঃসত্তার ৫ মাসে নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তানও নষ্ট হয়ে গেছে। অশান্তির জ¦ালা নিভাতে তিন মাস আগে সোহান আদিপকে এক লক্ষ টাকা দেন সঞ্চীতার পিতা-মাতা।
সর্বশেষ বুধবার (২৮-১১-১৮) বাঁকি টাকার জন্য স্বামী সোহান আদিপের সাথে বাক বিতন্ডা শুরু হয় সঞ্চীতার। এক পর্যায়ে শুরু হয় শারিরিক নির্যাতন। এসময় যোগ দেন স্বামীর পরিবারের অন্য সদস্যরাও। আঘাতের যন্ত্রনায় চিৎকার দিলে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ^াসরোধ করা হয়। পাশের বাড়ির লোকজন সংবাদ শুনে তাকে উদ্ধার করে চাচা শ^শুর হামেদের বাড়িতে রাখে। সংবাদ শুনে সঞ্চীতার ভাই মিঠু ও প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাঘা হাসপাতালে ভর্তি করে।
সরেজমিন,শুক্রবার বাঘা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পেটে, পিঠে ও শরিরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন সঞ্চীতা। কথা হলে নির্যাতনের এসব কথা বলেন সঞ্চীতা।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, অবিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।