নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে একুশে পদকপ্রাপ্ত চারণকবি বিজয় সরকারের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে নড়াইলে দু’দিনব্যাপি বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে এ মেলার উদ্বোধন করেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম), বিজয় ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহবায়ক আকরাম শাহিদ চুন্নু, সদস্য সচিব নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মুহাম্মাদ আল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু প্রমুখ। দু’দিনব্যাপি বিজয় মেলা উপলক্ষে বিজয়গীতি প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে।
বার্ধ্যকজনিত কারণে ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারতে পরলোকগমন করেন কবিয়াল বিজয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গের কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়। কবিয়াল বিজয় সরকার ১৯০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মা হিমালয়া দেবী। বিজয় সরকার নবমশ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, মতান্তরে মেট্রিক পর্যন্ত। তার দুই স্ত্রী বীণাপানি ও প্রমোদা অধিকারীর কেউ বেঁচে নেই। বিজয় একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। ১৮০০ বেশি গান লিখেছেন তিনি। প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সুর, সঙ্গীত ও অসাধারণ গায়কী ঢঙের জন্য ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন। ‘পাগল বিজয়’ হিসেবে সমধিক পরিচিত।
বিজয় সরকার গেয়েছেন-‘নবী নামের নৌকা গড়/ আল্ল¬াহ নামের পাল খাটাও/ বিসমিল্ল¬াহ বলিয়া মোমিন/ কূলের তরী খুলে দাওৃ।’ কিংবা ‘আল্ল¬াহ রসূল বল মোমিন/ আল্লাহ রসূল বল/ এবার দূরে ফেলে মায়ার বোঝা/ সোজা পথে চলৃ।’ স্ত্রী বীনাপাণির মৃত্যুর খবরে গানের আসরেই গেয়েছেন-‘পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী ,এ রমক হাজারো গান গেয়ে, গান প্রিয় মানুষের হ্দয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।