বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় সুভাষ চন্দ্র নামের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পনের মণ পেঁয়াজ জব্দ করে পুলিশ। ওই ব্যবসায়ী তার বাড়িতে গোপনে পেঁয়াজ মজুত রেখেছিলেন। তবে মজুতকৃত সব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার শর্তে ছাড় পান তিনি।
শনিবার রাতে পেঁয়াজগুলো জব্দের পর উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) শাহীন রেজার কাছে মুচলেকা দেন ব্যবসায়ী সুভাষ চন্দ্র । তার বাড়ি উপজেলার বাউসা গ্রামে। গ্রামের অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুত রাখছেন, এমন খবরে অভিযানে নামে পুলিশ।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার সব এলাকাতে ব্যাপকভাবে পেঁয়াজের চাষ হয়। বাঘার পদ্মার ১৫টি চরে পেঁয়াজ চাষে লাভবান হচ্ছে চরের কৃষকরা। উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজশাহীর বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন কুমার বলেন, চরাঞ্চল ছাড়াও বাউসা ও আড়ানী এলাকার প্রায় ব্যবসায়ীরা ১৫ থেকে ৫০ মণ করে পেঁয়াজ মজুত রেখেছেন। তারা দাম বাড়লে বিক্রি করছেন, নতুবা করছেন না। প্রশাসন যদি অভিযান চালিয়ে ওই সব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাজারে পেঁয়াজ ছাড় করেন দু’দিনের মধ্যে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কমে যাবে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পেঁয়াজ মজুত করে বাজারে ঘাটতির সৃষ্টি করছেন। এ খবর পেয়ে প্রশাসন মাঠে নেমেছে। পেঁয়াজের অবৈধ মজুত সিন্ডিকেট ভাঙতে, বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালানো হবে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহীন রেজা বলেন, পদ্মার চরে ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ চাষ হয়। মাঠে গেলে চোখে পড়ে পেঁয়াজের জমি। সেই হিসেবে বাঘায় পেঁয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয়। এখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতেও শুরু করেছে। তবুও দেশের অন্যান্য স্থানে বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানেও বাড়ানো হয়েছে। সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ মজুদারদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
স্ব.বা/শা