প্রতি বছর আমাদের দেশের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নামে ভর্তি যুদ্ধে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫ অক্টোবর। ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা হবে ৯ নভেম্বর। দেশের সব প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেছে। ২৭ আগস্ট থেকে এই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৮ সেপ্টেম্বর।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিচ্ছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০। আসন্ন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কুচক্রী মহলের তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য- মেডিকেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করা।
সামনেই জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে তারা যাতে বলতে পারে এই সরকারের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় এবং জনগণ যাতে বিভ্রান্ত হয়।
সরকারের বিরুদ্ধে এই ধরণের গুজব ও মিথ্যাচার দমন করার জন্য তৎপর রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তারা বলছেন এই ধরণের কোনো রকম মিথ্যাচার, গুজবে যাতে কান দেয়া না হয়। শিক্ষার্থীদের তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার আগে কোনোভাবে যাতে প্ৰশ্নপত্র ফাঁস না হয় এবং গুজব ছড়ানোকারীদের আইনের আওতায় আনা হয় সেই দিকে সচেষ্ট রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিবারের মতো এইবারও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যাতে কোনরকম অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে। সেই সাথে নজর থাকবে সরকার বিরোধী গুজব রটনাকারীদের, যারা নির্বাচনের আগে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়।